চঞ্চল প্রধান, হলদিয়া: ‘জনগর্জন সভা’র প্রস্তুতি অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার পথে তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা। গুরুতর জখম ৫ তৃণমূল কর্মী-সমর্থক। বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই হামলা চালিয়েছে বলেই অভিযোগ। বুধবার সন্ধ্যায় নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লকের মহেশপুর এলাকার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বঙ্গ সফরের দিনই হামলার ঘটনায় তীব্র সমালোচনায় সরব ঘাসফুল শিবির।
অভিযোগ, মহেশপুরের সভা থেকে বৃন্দাবনপুরের দিকে যাওয়ার পথে বিজেপি কর্মীরা তৃণমূল কর্মীদের উপর অতর্কিতে আক্রমণ করে। হামলায় গোকুলনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান, স্থানীয় বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা অশোক দাস এবং ভরত দাস গুরুতর জখম হন। তাঁদের নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার সাড়ে সাতটা থেকে সাড়ে নটা পর্যন্ত টানা দুঘণ্টা নন্দীগ্রামের গোকুলনগরের মহেশপুরে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করে তৃণমূল।
[আরও পড়ুন: বেঙ্গালুরুর রেস্তরাঁয় বিস্ফোরণে অভিযুক্তের মাথার দাম ১০ লক্ষ! ঘোষণা NIA-র]
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ছিলেন তমলুক সাংগঠনিক জেলার যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আসগর আলি, নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ, শেখ সুফিয়ান-সহ অন্যান্যরা। এ ব্যাপারে বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদক মেঘনাথ পাল জানিয়েছেন, “এলাকায় শবদাহ করেছিলেন কিছু মানুষ। তাঁদের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের অশান্তি হয়। অথচ বিজেপির ঘাড়ে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা অভিযোগ চাপানোর চেষ্টা চলছে। নন্দীগ্রামের মানুষ বিজেপির পক্ষেই আছে।”
যদিও এই বিজেপি নেতার অভিযোগকে পিঠ বাঁচানোর কৌশল বলে পালটা কটাক্ষ নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ। তিনি বলেন, “মানুষ ধীরে ধীরে বিজেপির কাছ থেকে সরে গিয়েছে। নন্দীগ্রামে ওদের পায়ের তলায় মাটি নেই। তাই ওরা আক্রমের পথ ধরেছে। আমরা এলাকার মানুষকে নিয়ে যোগ্য জবাব দিতে চাই।” বুধবারের ঘটনার প্রেক্ষিতে বিজেপির এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এলাকায় রয়েছে পুলিশি প্রহরা। এই ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামে মিছিলের ডাক দিয়েছে তৃণমূল।