সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পবিত্র রমজান মাসে দিনে মাত্র একবার আজান। শব্দদূষণ হ্রাসে এমনই সিদ্ধান্ত নিল কেরলের এক মসজিদ। এভাবেই দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাইছে মসজিদ কর্তৃপক্ষ।
ভোরে তারস্বরে আজানের শব্দে তাঁর ঘুম ভাঙে, ব্যাঘাত হয় সুখনিদ্রার, বলে বিতর্কে জড়িয়েছেন গায়ক সোনু নিগম। যে কোনও ধর্মস্থানে প্রার্থনার সময় মাইক বাজার ফলে শব্দদূষণের বিষয়টি ফের সামনে চলে আসে।
[‘মুসলিম নই, তবু আজান শুনে রোজ সকালে ঘুম ভাঙবে কেন?’]
স্পিকারে জোরে আজান বাজার কারণে দূষণের সমস্যাকে গুরুত্ব দিয়ে কেরলের মুসলিম অধ্যুষিত মল্লপুরম জেলার ভালিয়া জামা মসজিদ কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, রমজান মাসে দিনে মাত্র একবার লাউডস্পিকারে আজান বাজানো হবে। এলাকার ছোট মসজিদগুলিতে লাউডস্পিকারে আজান না বাজিয়ে শুধুমাত্র বড় মসজিদগুলিতে লাউডস্পিকার বাজানো হবে। ভাজাক্কাড় এলাকার সবচেয়ে বড় মসজিদ এটি। তাদের দৃষ্টান্ত মেনে চলবে এলাকার অন্যান্য মসজিদ, মহল্লা কমিটিও। অন্যান্য ধর্মীয় কারণে লাউডস্পিকারের ব্যবহার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। মসজিদ কমিটির সদস্য বৈঠকে এই সংক্রান্ত আলোচনা হয়েছে।
মহল্লা কাউন্সিলের সভাপতি টিপি আবদুল আজিজকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, প্রথমে অনেকেই মাইক বাজানো বন্ধ রাখার প্রস্তাবকে আপত্তি করে। পরে সম্মতিও দেয়। আশপাশের অনেক স্কুল, হাসপাতাল থেকে নির্বিচারে লাউডস্পিকার, মাইক বাজানোয় অসুবিধা হয় বলে অভিযোগ উঠছিল। সর্বত্র যাতে একই সময়ে আজান হয়, সে বিষয়েও মহল্লা কমিটি পাঁচ সদস্যের কমিটি নিয়োগ করে। পাশাপাশি, মসজিদ কমিটি কোঝিকোড়ের প্রধান কাজির সঙ্গেও আলোচনা হয়। কারণ মুসলিম সমাজে তাঁর প্রভাব অপরিসীম। একাধিক বেসরকারি সংস্থা, সামাজিক সংগঠন ও এলাকার বাসিন্দারা দিনে একবারই লাউডস্পিকারে আজান বাজানোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। কানফাটানো শব্দে নির্বিচারে রাজনৈতিক বক্তৃতা বন্ধেও এই পদক্ষেপ সুদূরপ্রসারী ফল দেবে।
[আজানের বদলে মসজিদ থেকে বাজল পর্ন ছবির আওয়াজ, হতবাক শহরবাসী]
The post দিনে একবারই বাজবে আজান, নজির গড়ল এই মসজিদ appeared first on Sangbad Pratidin.