স্টাফ রিপোর্টার: আর এক মাস। তার পরই বড়দিন ও বর্ষবরণের উৎসব শুরু। এই উৎসব মানে পার্ক স্ট্রিট (Park Street) ও শেক্সপিয়র সরণি এলাকায় ভিড়। একে অন্যকে বড়দিন নববর্ষের শুভেচ্ছা জানানো। এই বছর যাতে পার্ক স্ট্রিট ও সংলগ্ন অঞ্চলে অতিরিক্ত ভিড় না হয়, তার জন্য পরিকল্পনা শুরু করছে পুলিশ। পুলিশের মতে, করোনা পরিস্থিতিতে এই উৎসব ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে হওয়া অনেক বেশি নিরাপদ।
আসছে শীত। এবার পুলিশের ভাবনা বড়দিন (Christmas Day) ও বর্ষবরণে মানুষের পারস্পরিক দূরত্ব বজায় হওয়া নিয়ে। প্রত্যেক বছর বড়দিনের কিছুদিন আগে থেকেই পার্ক স্ট্রিট, শেক্সপিয়র সরণি, নিউ মার্কেটে শুরু হয় গায়ে গা ঠেকানো ভিড়। পানশালা ও রেস্তরাঁগুলি থাকে ভরতি। বিশেষ করে ক্রিসমাস ইভ থেকে শুরু করে বর্ষবরণ, নতুন বছরের প্রথম দিন পর্যন্ত এই ভিড় থেকেই যায়। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে এই বছর পুজোর সময় মণ্ডপে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। তাই রাস্তায় ভিড় ছিল অনেকটাই কম। ভিড় কম ছিল কালীপুজো বা ছটপুজোয়ও। এখনও বড়দিনের এক মাস দেরি। বড়দিনকে কেন্দ্র করে যাতে কলকাতায় ভিড় না হয় ও তার ফলে করোনার সংক্রমণ না বাড়ে, সেরকমই পরিকল্পনা করছেন পুলিশ আধিকারিকরা। যদিও কী করা হবে, সেই ব্যাপারে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি।
[আরও পড়ুন: সৌগত রায়ের সঙ্গে একঘণ্টার বৈঠক শেষ, শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত]
পুলিশের এক আধিকারিক জানান, পার্ক স্ট্রিট ও তার সংলগ্ন এলাকায় রেস্তরাঁ (Restaurants) ও পানশালায় লোকজন আসা শুরু করলেও ভিড় অপেক্ষাকৃত কম। বেশ কিছু পানশালা ও রেস্তরাঁ বন্ধও রয়েছে। বড়দিন ও নববর্ষ উদযাপন করতে শহরবাসী পার্ক স্ট্রিটের দিকে আসার কথা ভাবতে পারেন। সেই ক্ষেত্রে ভিড় হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। অথচ করোনা পরিস্থিতিতে পারস্পরিক দূরত্ব রাখা অত্যন্ত জরুরি। তাই পার্ক স্ট্রিট ও শেক্সপিয়র সরণি এলাকা যাতে অপেক্ষাকৃত ফাঁকা থাকে, সেই মতো পুলিশ ব্যবস্থা নিতে পারে।
তার জন্য ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে প্রাথমিকভাবে বৈঠক করতে পারেন পুলিশ আধিকারিকরা। অন্য বছরগুলিতে ভিড় নিয়ন্ত্রণ পরিকল্পনার সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তার উপরও গুরুত্ব দেওয়া হয়। পার্ক স্ট্রিটে তৈরি হয় ওয়াচ টাওয়ার। পার্ক স্ট্রিট ফ্লাইওভারের লাগানো হয় ভিউ ব্রেকার পর্দা। নিয়ন্ত্রণ আনা হয় যান চলাচলের উপর। এই পরিস্থিতিতে চলতি বছর কী হবে, তা নিয়ে পুলিশ ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে। যদিও পার্ক স্ট্রিটে ভিড় এড়াতে ভারচুয়াল পদ্ধতি বা অনলাইনে যাতে এই উৎসব হয়, সেই ব্যাপারেও পুলিশের পক্ষে প্রচার চালানো হতে পারে। পার্ক স্ট্রিট এলাকা ছাড়াও কলকাতার বহু জায়গায় বড়দিন ও বর্ষবরণের উৎসব উদযাপন হয়। সেই অঞ্চলগুলিতে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য পরিকল্পনা শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।