গৌতম ব্রহ্ম: বয়সের ভারে ন্যুব্জ হয়ে গিয়েছিলেন৷ হারিয়ে গিয়েছিল শারীরিক ক্ষমতা৷ বিছানাতেই কাটছিল দিন৷ শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত শনিবার ভরতি করা হয়েছিল শহরের বেসরকারি হাসপাতালে৷ দীর্ঘ রোগভোগের পর যমে-মানুষের লড়াইয়ে হার মানলেন অভিনেতা স্বরূপ দত্ত৷ বুধবার ভোররাতে হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি৷ বিশিষ্ট অভিনেতার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ টলিপাড়া৷
[ আরও পড়ুন: যাত্রীসুরক্ষায় নয়া ভাবনা, জোর করে মেট্রোয় ওঠার চেষ্টা করলে দিতে হবে জরিমানা]
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছিলেন স্বরূপ দত্ত। সঙ্গে যোগ হয়েছিল স্নায়ুজনিত রোগ৷ সব মিলিয়ে এক্কেবারে শয্যাশায়ী হয়ে পড়েছিলেন অভিনেতা৷ গত শনিবার বাড়িতে পড়েও যান তিনি৷ সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পরিজনেরা তাঁকে উদ্ধার করেন৷ নিয়ে যাওয়া হয় মল্লিকবাজারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে৷ চিকিৎসকরা জানান, তাঁর চোট অত্যন্ত গুরুতর৷ তারপর থেকে অবস্থার আরও অবনতি হয়৷ ভেন্টিলেশনেই ছিলেন তিনি৷ বুধবার ভোররাতে সব শেষ৷ স্ত্রীকে একা রেখে ইহলোকের মায়া কাটিয়ে অমৃতলোকের পথে পাড়ি দেন তিনি৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর৷
পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, বুধবার হাসপাতাল থেকে স্বরূপ দত্তের দেহ বালিগঞ্জ প্লেসের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে। পর সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হবে কেওড়াতলা শ্মশানে। সেখানেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে অভিনেতার৷
[ আরও পড়ুন: বিপ্লবের পর এবার মাধবী, আরএসএস মদতপুষ্ট টলিউড সংগঠনের পাশে অভিনেত্রী]
ছয় এবং সাতের দশকে টলিপাড়ার অত্যন্ত পরিচিত মুখ ছিলেন অভিনেতা স্বরূপ দত্ত। তপন সিংহের পরিচালনায় বেশ কয়েকটি ছবিতে নায়কের ভূমিকাতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে৷ তাঁর অভিনীত ‘মেঘ ও রৌদ্র’, ‘আপনজন’, ‘এখনই’, ‘সাগিনা মাহাতো’, ‘হারমোনিয়াম’, ‘পিতা-পুত্র’, ‘মা ও মেয়ে’, ‘অচেনা অতিথি’ ছবির কথা আজও সিনেপ্রেমীদের মুখে মুখে ফেরে৷ অপর্ণা সেন, মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়, তনুজার মতো নায়িকাদের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি৷ হাসিখুশি স্বভাবের স্বরূপ দত্তের মৃত্যুতে টলিপাড়ার অনেকেরই চোখের কোণে জল৷ টলিউডের অভাবণীয় ক্ষতি মেনে নিতে পারছেন না কেউ৷
The post যমে-মানুষের লড়াইয়ে ইতি, চলে গেলেন অভিনেতা স্বরূপ দত্ত appeared first on Sangbad Pratidin.