সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুর্গাপুজোর সময় প্রতিমা-মণ্ডপ দর্শনে বেরিয়ে ঠান্ডা পানীয়ে গলা ভেজাবেন না, এমন দর্শনার্থী খুঁজে পাওয়া দুষ্কর! ভিড়ে চিড়েচ্যাপ্টা হওয়ার ফাঁকে বহুজাতিক সংস্থার কালো-সাদা বা কমলা রঙের পানীয়র বোতল খুলে গলায় ঢালার শখ কম-বেশি সকলেরই বর্তমান৷ কিন্তু এই প্রবণতাতেই লুকিয়ে রয়েছে বিপদের হাতছানি! কেন্দ্রীয় সরকারের এক সমীক্ষায় ধরা পড়েছে, দুটি জনপ্রিয় বহুজাতিক সংস্থার একাধিক পানীয়র পেট বটলে রয়েছে ধাতব কণার উপস্থিতি৷ অন্তত পাঁচ রকমের ধাতব পদার্থের অস্তিত্ব ধরা পড়েছে পেপসিকো ও কোকাকোলা সংস্থার একাধিক পানীয়র পেট বটলে৷ মানবদেহে প্রবেশ করলে এই ধাতব কণাই বিষের মতো আচরণ করতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের মত৷ বিশেষত মহিলা ও শিশুদের দেহের অভ্যন্তরে দীর্ঘস্থায়ী ও মারাত্মক ক্ষতিসাধন করতে পারে এই সমস্ত ধাতব পদার্থ৷
একটি সর্বভারতীয় সংবাদপত্রে প্রকাশিত রিপোর্ট মোতাবেক, পেপসি, কোকাকোলা, মাউন্টেন ডিউ, স্প্রাইট ও সেভেন আপের ৬০০ মিলিলিটারের পেট বটলের উপর ‘র্যান্ডম সার্ভে’ চালানোর সময় এই গলদ ধরা পড়ে৷ সমীক্ষাটি চালানো হয় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে৷ কেন্দ্রীয় সরকার অনুমোদিত সংস্থা ড্রাগ টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসারি বোর্ডের (ডিটিএবি) নির্দেশে সমীক্ষাটি চালায় অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ হাইজিন অ্যান্ড পাবলিক হেলথ৷ সমীক্ষার ফলাফলে দেখা যায়, পেট বটল-বন্দি পানীয়ের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিমনি, লেড, ক্রোমিয়াম, ক্যাডমিয়ামের মতো ভারী ধাতব পদার্থ৷ সমীক্ষার ফলাফলের রিপোর্টটি ইতিমধ্যেই ডিরেক্টর জেনারেল অফ হেলথ সার্ভিসেস ও ডিটিএবি-র চেয়ারম্যানের দফতরে জমা পড়েছে৷
ঠান্ডা পানীয়র পেট বটলে ভারী ধাতুর উপস্থিতির মাত্রা কত হওয়া উচিত সে বিষয়ে অবশ্য এ দেশে এখনও কোনও নির্দিষ্ট নিয়ম নেই৷ কিন্তু ওই সমস্ত ধাতু মানবদেহে মাত্রাতিরিক্ত প্রবেশ করলে যে তার ফল ক্ষতিকারক হতে পারে সে কথা স্বীকার করে নিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা৷ সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে স্প্রাইট, মাউন্টেন ডিউ, পেপসি, কোকাকোলায় প্রতি লিটারে ০.০২৯ মিলিগ্রাম অ্যান্টিমনি, ০.০০২ মিলিগ্রাম মতো লেড রয়েছে৷ এই প্রসঙ্গে অবশ্য অভিযুক্ত কোনও বহুজাতিক সংস্থার তরফেরই বক্তব্য পাওয়া যায়নি৷
The post জনপ্রিয় ঠান্ডা পানীয়র পেট বটলে লুকিয়ে ‘বিষ’ appeared first on Sangbad Pratidin.