সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৃতীয় দফার নির্বাচনে আগে বঙ্গে ফের আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ২ মে, কলকাতায় পৌঁছবেন তিনি। রাতে রাজভবনে থাকার কথা। পরদিন অর্থাৎ ৩ মে তিনটি জনসভা রয়েছে তাঁর। কৃষ্ণনগর, বর্ধমান পূর্ব, বোলপুরে জনসভা করবেন। মোদির সফরের আগে কলকাতা পুলিশের তরফে যান নিয়ন্ত্রণের বন্দোবস্ত করা হয়েছে।
কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ৪০ থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত এবং তার পরদিন অর্থাৎ শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ভারী গাড়ি কলকাতায় ঢোকা বন্ধ। বৃহস্পতিবার যান নিয়ন্ত্রণ হবে উল্টোডাঙা ফ্লাইওভার, ইএম বাইপাস, মা উড়ালপুল, এজেসি বোস উড়ালপুল, হসপিটাল রোড, লাভার্স লেন, খিদিরপুর রোড, জেনসন অ্যান্ড নিকোলসন আইল্যান্ড, রেড রোড, আর আর অ্যাভিনিউ, রাজভবন (সাউথ গেট)। পরদিন অর্থাৎ শুক্রবার রাজভবন (সাউথ গেট), আর আর অ্যাভিনিউ, রেড রোড, জেনসন অ্যান্ড নিকোলসন আইল্যান্ড, খিদিরপুর রোড এবং ১১ ফারলং গেটে যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
[আরও পড়ুন: ফের সন্দেশখালিতে সিবিআই হানা, সাতসকালে শাহজাহান মার্কেটে আধিকারিকরা]
উল্লেখ্য, ২০১৯ লোকসভা ভোটের তুলনায় বাংলা থেকে চব্বিশের নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) বেশি আসন পাওয়াকে পাখির চোখ করেছে বিজেপি। সেই লক্ষ্যে লাগাতার বঙ্গে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহরা। ইতিমধ্যে বাংলায় বেশ কয়েকটি জনসভা করে গিয়েছেন মোদি। কখনও বাংলায় বক্তৃতা শুরু করে, আবার কখনও মনীষীদের কথা বলে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবাসীর মন জয়ের চেষ্টা করেছেন। পাশাপাশি তৃণমূল বিরোধী হাতিয়ারগুলিতে আরও শান দিয়েছেন। দক্ষিণবঙ্গে প্রচারে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামী ৩ মে, শুক্রবার মোদি একইদিনে তিনটি জনসভা করবেন কৃষ্ণনগর, বোলপুর ও বর্ধমান পূর্বে। কৃষ্ণনগরে মহুয়া মৈত্রকে পরাস্ত করতে এবার বিজেপির বাজি ‘রাজমাতা’ অমৃতা রায়। তিনি প্রার্থী হওয়ার পরই ফোনে তাঁর সঙ্গে কথা বলে লড়াইয়ের মন্ত্র দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
এবার অমৃতা রায়ের হয়ে সীমান্ত এলাকা তেহট্টে নির্বাচনী প্রচার করবেন মোদি। বোলপুরের বিজেপি প্রার্থী গৃহবধূ পিয়া সাহা। তাঁর হয়েও ৩ মে প্রচার করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এছাড়া বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের গেরুয়া প্রার্থী কবিয়াল অসীম সরকারের সমর্থনে হবে মোদির জনসভা। উল্লেখ্য, আগামী ৩ তারিখ মোদি যে তিনটি কেন্দ্রে জনসভা করবেন, তার সবকটিতেই বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। বিশেষত কৃষ্ণনগর রাজ্যের অন্যতম নজরকাড়া কেন্দ্র। তাই দক্ষিণবঙ্গে প্রচারের শুরু সেখান থেকেই করতে চান প্রধানমন্ত্রী। উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের প্রচার এই কৃষ্ণনগর থেকে শুরু করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।