সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কড়ি দিয়ে আজও জীবন কেনা যায়? কেনা যায় মানুষের ইচ্ছে-অনিচ্ছে, ভালবাসা? এই প্রশ্নের উত্তরই খুঁজেছেন পরিচালক রঞ্জন ঘোষ। ক্যামেরার সামনে নিয়ে এসেছেন সমাজের চারটি চালচিত্র। যাদের একসঙ্গে জুড়ে দেয় ‘রং বেরঙের কড়ি’। হিন্দু জাগরণ মঞ্চের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই ছবিকে শংসাপত্র দিয়েছিল সেন্সর। দেরিতে হলেও সুবিচার মিলেছে। অবশেষে প্রকাশ্যে পরিচালক রঞ্জন ঘোষের বহুচর্চিত ছবি ‘রং বেরঙের কড়ি’র ট্রেলার। মুখ্যচরিত্রে ঋতুপর্ণা সোনগুপ্ত, চিরঞ্জিৎ, ঋত্বিক চক্রবর্তী, সোহম চক্রবর্তী, অরুণিমা ঘোষের মতো তারকারা। ছবির ক্রিয়েটিভ কনসালট্যান্ট অপর্ণা সেন।
[রাতভর শুটিংয়ের ধকল, যোধপুরে গুরুতর অসুস্থ অমিতাভ বচ্চন]
নিজের ছবির চরিত্রদের জীবনে টাকার মূল্য নিখুঁতভাবে তুলে ধরেছেন পরিচালক। বিতর্ক মূলত তৈরি হয়েছিল সোহম-অরুণিমার চরিত্র নিয়ে। আদিবাসী দম্পতি রাম-সীতা ডিভোর্স চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়। এরই মধ্যে হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সদস্যরা ছবিতে ঈশ্বরের অবতারের নাম নিয়ে আপত্তি তোলেন। নাম বাদ দেওয়ার দাবিতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখান। এমনিতেই সে সময় ‘পদ্মাবত’ বিক্ষোভ চলছিল দেশের একাধিক স্থানে। এমন অবস্থায় নিজের ছবির ভবিষ্যত নিয়ে টেনশনে ছিলেন পরিচালক রঞ্জন। কিন্তু যাবতীয় জল্পনার অবসান করে এবং কোনও আপত্তির তোয়াক্কা না করেই ছবিকে শংসাপত্র দেয় সিবিএফসি।
[শ্রীদেবী-কন্যার প্রথম ছবিতে খরাজ, কলকাতাতেও হবে ‘ধড়ক’-এর শুটিং]
সিবিএফসির ভূমিকায় বেজায় খুশি ছিলেন পরিচালক। পক্ষপাতহীনভাবে তাঁর ছবিকে দেখা হয়েছে। কোনও অযাচিত বিক্ষোভের কাছেও মাথা নোয়ায়নি সেন্সর। সিবিএফসির এ ভূমিকা অবশ্যই প্রশংসনীয় বলে জানিয়েছিলেন তিনি। সিবিএফসির রিজিওনাল অফিসার সম্রাট বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, সেন্সর কেবল নিজের দায়িত্ব পালন করেছে মাত্র। তবে হাজার চেষ্টা সত্ত্বেও ২০১৭-র ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে শংসাপত্রটি মেলেনি। তাই জাতীয় পুরস্কারের জন্য ছবিটি পাঠানো যায়নি। এ আক্ষেপ কোথাও কোথাও শোনা যাচ্ছে। তবে সে সব এখন অতীত। ২৩ মার্চ দর্শকের দরবারে মুক্তি পাচ্ছে ‘রং বেরঙের কড়ি’। এই আনন্দই অনেক বলে মনে করছেন সিনেপ্রেমীরা।
[দ্রুত গতিতে গাড়ি চালিয়ে অটোকে ধাক্কা, গ্রেপ্তার আদিত্য নারায়ণ]
The post কট্টরপন্থীদের রক্তচক্ষু পেরিয়ে দর্শকের দরবারে ‘রং বেরঙের কড়ি’ appeared first on Sangbad Pratidin.