সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিছুদিন আগেই এমনই একটি ঘটনার সাক্ষী থেকেছে বোলপুরের মানুষ। এবার ঠিক তেমনই একটি ঘটনা ঘটল ভুবনেশ্বরে। সেকান্দ্রবাদ যাওয়ার পথে মাঝরাস্তাতেই বগিগুলো ফেলে রেখে ছুটল ট্রেন। গোটা ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় রেলযাত্রীদের মধ্যে।
ওড়িশার ভুবনেশ্বর থেকে অন্ধ্রপ্রদেশের সেকান্দ্রাবাদ যাচ্ছিল বিশাখা এক্সপ্রেস। ঘটনাটি ঘটে নরসিংহপল্লি ও গল্লিপাদু স্টেশনের মধ্যে নরসিপটনমের কাছে। রেলসূত্রে খবর, ট্রেনের ইঞ্জিন আচমকাই কোনও কারণে বগিগুলো থেকে আলগা হয়ে খুলে যায়। চালক তা বুঝতে পারেননি। তিনি গাড়ি ছুটিয়ে দেন। জানা গিয়েছে, প্রায় ৩-৪ কিলোমিটার এভাবেই চলে যায় ইঞ্জিন। যদিও অনেকের মতে, ইঞ্জিন প্রায় ১০ কিলোমিটার চলে গিয়েছিল। পিছনে পড়েছিল প্রায় ২৫টি বগি। যদিও রেলের তরফে একথা অস্বীকার করা হয়েছে। তাদের মতে মাত্র কয়েক কিলোমিটার এভাবে যায় ইঞ্জিনটি।
[ আরও পড়ুন: উন্নাও দুর্ঘটনার তদন্ত ২ সপ্তাহের মধ্যে শেষ করতে হবে, সিবিআইকে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের ]
তবে এমন একটি ঘটনা যে ঘটেছে, তা বুঝতেই রেলকর্মীদের খানিকটা সময় লেগে যায়। যখন তাঁরা বুঝতে পারেন, সঙ্গে সঙ্গে ইঞ্জিন ফিরিয়ে আনেন। রেলের মতে কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাটি বুঝতে পেরেছিলেন কর্মীরা। তারপর ইঞ্জিনটি বগিগুলির সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়। এর জন্য কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু দোষটা ঠিক কার, এনিয়ে এখনও মুখে কুলুপ রেলকর্তাদের। গোটা ঘটনায় প্রায় এক ঘণ্টা ব্যাহত হয় রেল পরিষেবা।
দিনচারেক আগে ঠিক এমনই একটি ঘটনা ঘটেছিল বোলপুরে। স্টেশন থেকে বোলপুর-হাওড়া শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস ছাড়ার পর আচমকাই রেলের ইঞ্জিন বগিগুলো থেকে খুলে এগিয়ে যায়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। ভেদিয়া স্টেশন ঢোকার মুখেই দুর্ঘটনাটি ঘটে। সঙ্গে সঙ্গে ট্রেনের চালক আপৎকালীন ব্রেক কষে ট্রেন থামিয়ে দেন। খবর দেওয়া হয় স্টেশনে। যদিও সেবারও কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু একের পর এক দুর্ঘটনার পর রেলের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রশ্ন উঠছে, একটি ট্রেন যখন প্রথম স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করছে তখন রেলকর্মীদের উচিত সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখা। তাঁরা কি দেখেননি? আর দেখে থাকলে কেন এমন বিপত্তি হল? এতে রেলকর্মীদের গাফিলতিকেই দায়ী করছেন যাত্রীরা।
The post বগি ফেলে ছুটল বিশাখা এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন, আতঙ্কিত যাত্রীরা appeared first on Sangbad Pratidin.