shono
Advertisement
Maheshganj Estate

উইকএন্ড কাটাতে পারেন 'নীল কোঠি'তে, কলকাতার কাছেই রয়েছে ঐতিহ্যবাহী এই জায়গা

এ যেন অতীতকে ফিরে দেখা।
Published By: Suparna MajumderPosted: 05:25 PM Jun 05, 2024Updated: 05:46 PM Jun 05, 2024

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সারা সপ্তাহের ইঁদুর দৌড়ের পর পাওয়া যায় একটা উইকএন্ড। ছুটির দুটো দিন। এই দুটো দিনে যদি কলকাতার আশেপাশে কোথাও ঘুরে আসা যায়, কী ভালোই না হয়! এই তাগিদে অনেকেই বেড়িয়ে পরেন। কেউ হোটেল বা রিসর্টে গিয়ে ওঠেন, কেউ আবার খোঁজেন হোমস্টে। এর বাইরে যদি একটু অন্যরকম অভিজ্ঞতা চান তাহলে আপনার অপেক্ষায় রয়েছে মহেশগঞ্জ এস্টেট। সেই 'নীল কোঠি' যা আপনাকে অতীতে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। হাতে ছুঁয়ে দেখতে পারবেন বাংলার ইতিহাস।

Advertisement

ছবি: সংগৃহীত

ইতিহাস
নেটদুনিয়া থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৭৮০ সালে বালাখানার ঐতিহ্যবাহি এস্টেট তৈরি করেছিলেন ইটালিয়ান চিকিসক জন অ্যাঞ্জেলো সাভি। এলিজাবেথ নামের এক ফরাসি মহিলাকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। তাই বাড়িতেও ফরাসি স্থাপত্যের ছোঁয়া রয়েছে। নীল বিদ্রোহের পর এই এস্টেট বিক্রি হয়ে যায়। জনের নাতি হেনরি নেসবিটের কাছ থেকে তা তা কিনে নেয় পালচৌধুরী বংশ। তার পর থেকে তাঁরাই সামলাচ্ছেন এস্টেটের যাবতীয় রক্ষণাবেক্ষণ ও কাজকর্ম।

[আরও পড়ুন: এবার এক্সে দেখা যাবে পর্নও, বড় ঘোষণা মাস্কের]

কীভাবে যাবেন?
এনএইচ ৩৪ ধরে যশোর রোড ধরে কৃষ্ণনগর। সেখান থেকে মহেশগঞ্জ হয়ে বালাখানা। অথবা কোনা এক্সপ্রেসওয়ে ধরে কালনা। সেখান থেকে গৌরাঙ্গসেতু ধরে মহেশগঞ্জ সাইনবোর্ড ধরে বালাখানা। নয়তো ট্রেনে কৃষ্ণনগর পৌঁছে সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে যাওয়া যেতে পারে।

ছবি: সংগৃহীত

থাকা এবং খাওয়া:
বর্তমানে মহেশগঞ্জ এস্টেটে পাঁচটি এসি রুম এবং ছটি নন-এসি গেস্টরুম রয়েছে এখানে। আর সেই সঙ্গে রয়েছে বিশাল এবং লম্বা একটি বারান্দা। সেখানে বসলেই মন জুড়িয়ে যাবে। মনে হবে যেন টাইম মেশিনে চড়ে অতীতের কোনও সময়ে চলে গিয়েছেন। পাখির কলকাকলি শুনতে পাবেন। হাঁসেরা কৌতূহলী হয়ে আপনার খবর নিতে আসবে। চাইলে স্নুকার বা ক্যারাম খেলার বন্দোবস্তও আছে।

ছবি: সংগৃহীত

হ্যাঁ, এই সব পেতে গেলে ট্যাঁকের কড়ি একটু ভালোই খসাতে হবে। চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত এক দিনের থাকার ভাড়া ৬০০০ টাকা ছিল। এর মধ্যে কম্প্লিমেন্টারি হিসেবে ব্রেকফাস্ট ও দুবেলার চা পেয়ে যাবেন। ব্রেকফাস্ট কিন্তু ইংলিশ। তবে মধ্যাহ্নভোজে বাঙালিয়ানা হতেই পারে। পদ নিরামিষ হলে পাঁচশো টাকা মতো লাগবে। আর আমিষ পদ সাতশো টাকা বাড়তি দিয়েই পেয়ে যাবেন। রাতে থাকে কন্টিনেন্টাল মেনু। এছাড়া মিষ্টি, কেক, পুডিংয়ের অপশনও রয়েছে। বাকি তথ্য যাওয়ার আগে ফোন করে জেনে নেবেন। নেটদুনিয়ায় মহেশগঞ্জ এস্টেটের নাম দিয়ে খুঁজলেই তা পেয়ে যাবেন।

ছবি: সংগৃহীত

[আরও পড়ুন: ভোটে জিতেছে প্রিয় দল? উদরপূর্তির লম্বা ফিরিস্তি! গুচ্ছখানেক রেসিপি দেখে নিন]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • একটু অন্যরকম অভিজ্ঞতা চান তাহলে আপনার অপেক্ষায় রয়েছে মহেশগঞ্জ এস্টেট।
  • সেই 'নীল কোঠি' যা আপনাকে অতীতে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। ছুঁয়ে দেখতে পারবেন বাংলার ইতিহাস।
Advertisement