সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ”৪ জনের মৃত্যুতেই শোকপ্রকাশ, আনন্দ বর্মনকে ভুলে গেলেন? তাঁর জন্য তো একফোঁটা চোখে জল নেই।” শীতলকুচি (Sitalkuchi) কাণ্ডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধতে এভাবেই রবিবার দুপুরে আক্রমণ করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। আর সন্ধেয় সাংবাদিক বৈঠক করে সেই আক্রমণ কার্যত প্রমাণ-সহ ফিরিয়ে দিল তৃণমূল। দলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের বক্তব্য, ”২৪ ঘণ্টা অমিত শাহ কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। এখন শাক দিয়ে মাছ ঢাকছেন। মিথ্যাচার করছেন উনি। বলছেন, মুখ্যমন্ত্রী শুধু চারজনের কথা বলছেন। বাকি একজনের কথা বলছেন না। এটা মিথ্যা। কারণ, উত্তরবঙ্গের সভা থেকেই এদিন মুখ্যমন্ত্রী পাঁচজনকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।সভামঞ্চে থাকা শহিদ তালিকায় আনন্দ বর্মনের নামও বলেছেন তিনি। অমিত শাহ নিজে কি এই পাঁচজনের নাম উল্লেখ করেছেন?”
রবিবার কোচবিহারের শীতলকুচির জোড়পাটকিতে যাওয়ার কথা ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। কিন্তু শনিবার ভোটের দিন সেখানে মোট ৫ জনের মৃত্যুর পর নির্বাচন কমিশন নতুন করে বিধিনিষেধ জারি করে জানায়, ৭২ ঘণ্টা কোচবিহারে প্রবেশ করতে পারবেন না কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তাই সফর বাতিল করে তৃণমূল সুপ্রিমো শিলিগুড়ি থেকে সরাসরি নাগরাকাটার সভায় চলে যান। সভামঞ্চেই শহিদ স্মরণ করেন। শহিদদের তালিকায় ছিল আনন্দ বর্মনের নামও। তিনি কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে প্রাণ না হারালেও নির্বাচনী হিংসার বলি, তাই তাঁকেও যোগ্য সম্মান দেওয়া হয়েছে। এরপরও কেন অমিত শাহ অভিযোগ তুলছেন, আনন্দ বর্মন উপেক্ষিত বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে? এই প্রশ্নই তুলেছেন সুখেন্দুশেখর রায়।
[আরও পড়ুন: পাতালপথে সোনা পাচারের চেষ্টা? দমদম মেট্রো স্টেশনে উদ্ধার বিপুল পরিমাণ গয়না]
এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে তাঁর আরও প্রশ্ন, কমিশনের পক্ষ থেকে ঘটনার কোনও ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করা হল না কেন? সিসিটিভি কি ছিল না? ড্রোন থাকার কথা বলা হয়েছিল। সেখান থেকেও কি নজরদারি হয়নি? নাকি সমস্ত কিছুকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য এসব হচ্ছে?এই সংশয়ও প্রকাশ করেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ। আরেক সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন টুইটারে ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘ঠগ, জালিয়াত, মিথ্যাবাদী’। তৃণমূল নেতৃত্ব প্রমাণ-সহ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই ‘মিথ্যাচার’ নিয়ে এদিন পালটা আক্রমণে নামল।