সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ত্রিপুরার পুরভোটে ৩৩৪ আসনের মধ্যে ১১২টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গেল সেরাজ্যের শাসকদল বিজেপি (BJP)। মোট ৭টি নগর পঞ্চায়েত এবং পুরসভায় কোনও বিরোধী প্রার্থী নেই। মঙ্গলবার এমনটাই জানিয়েছে ত্রিপুরা রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
আগামী ২৫ নভেম্বর ত্রিপুরায় পুরসভা নির্বাচন (Tripura Civic Polls)। সোমবার ছিল পুরনিগমের নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিন। নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, শুধু শেষদিনই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন সিপিএমের ১৫ জন প্রার্থী। ত্রিপুরায় প্রথমবার পুরনির্বাচনে লড়তে যাওয়া তৃণমূলের (TMC) চার প্রার্থীও মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। কংগ্রেসের ৮ প্রার্থী শেষদিন মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। শেষবেলায় মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন ফরওয়ার্ড ব্লকের ২ জন এবং ৭ জন নির্দল প্রার্থী। যার ফলে আগরতলা পুরনিগম, ১৩টি পুরসভা ও ৬টি নগর পঞ্চায়েতের ৩৩৪টি আসনের মধ্যে ১১২টি আসনেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে বিজেপি।
[আরও পড়ুন: পুরভোটের আগেই ফের ত্রিপুরায় যাচ্ছেন অভিষেক, অমিত শাহর সঙ্গে সরাসরি দ্বৈরথের সম্ভাবনা]
আমবাসা পুরসভা, জিরানিয়া নগর পঞ্চায়েত, মোহনপুর পুরসভা, রানিবাজার পুরসভা, বিশালগড় পুরসভা, উদয়পুর পুরসভা, এবং শান্তিরবাজার পুরসভায় বিরোধীদের একজনও প্রার্থী নেই।বিরোধীদের অভিযোগ, ত্রিপুরায় পুরভোটের আগে বেলাগাম সন্ত্রাস চলছে। যার জেরে ভয়ে প্রার্থীরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হচ্ছেন। একযোগে সিপিএম, তৃণমূল এবং কংগ্রেস (Congress) রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেছে। কমিশন এবং পুলিশ সরকারের ইশারায় কাজ করছে বলেও অভিযোগ বিরোধীদের। যদিও, শাসক বিজেপির দাবি নিজের সাংগঠনিক দুর্বলতার জন্যই প্রার্থী দিতে পারেনি বিরোধীরা।
[আরও পড়ুন: ‘ভারত হিন্দুদের দেশ, সব মাদ্রাসা বন্ধ হওয়া উচিত’, অসমের মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে বিতর্ক]
ঘটনাচক্রে বুধবারও আগরতলায় তৃণমূল প্রার্থীকে আক্রমণ করার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার আগরতলায় তৃণমূলের প্রার্থী অপর্ণা বিশ্বাসের বাড়িতে চড়াও হয় একদল দুষ্কৃতী। তাঁর পরিবারেসে সদস্যদের হুমকি দেওয়া হয়। বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের একাংশও বিজেপির কথায় কাজ করছে।