সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ত্রিপুরা পুরভোটে যে পাল্লা ভারী বিজেপিরই, নির্বাচনের আগে থেকে এমনটাই দাবি করে আসছিল উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্য। রবিবার ভোটগণনা শুরু হতেই স্পষ্ট হল ছবিটা। প্রথম থেকেই চালিয়ে খেলছে গেরুয়া শিবির। গণনা শুরুর আধঘণ্টার মধ্যেই জয়ীদের তালিকায় উঠে এল একাধিক বিজেপি প্রার্থীর (BJP Candidates) নাম। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বামেরা। সেদিক থেকে আগরতলায় অনেকটাই পিছিয়ে পুরভোটে প্রথমবার অংশ নেওয়া তৃণমূল।
ত্রিপুরায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভাবে পুরভোটের (Tripura Civic Polls) গণনার জন্য নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়েছে। মোট ১৩টি গণনা কেন্দ্রে রয়েছে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। জোর দেওয়া হয়েছে কোভিডবিধিতেও। এদিন সকাল ৮ টা থেকে শুরু হয় গণনা। আর প্রথম থেকেই এগিয়ে বিজেপি। ১৩টি পুর পরিষদ এবং ৬টি নগর পঞ্চায়েতের নির্বাচনের গণনা চলছে। সব মিলিয়ে আজ মোট ৩৩৪টি ওয়ার্ডের ফলাফল প্রকাশিত হবে। প্রতিটা আসনেই প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। যার মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১১২টি আসনে ইতিমধ্যেই জয় পেয়েছে তারা। বাকি ২২২টি আসনে মোট ৭৮৫ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারিত হবে এদিন। এর মধ্যে ১টি নগর পঞ্চায়েতে ইতিমধ্যেই বিজয় ঝাণ্ডা উড়িয়েছেন পদ্মপ্রার্থী। আগরতলা কর্পোরেশনের তিনটি আসনেই জয়ী বিজেপি। ২ নম্বরে লড়াই দিচ্ছে সিপিএম। অন্যদিকে তেলেমুড়া পুর পরিষদের ১৫টি আসনে চারটিই গেরুয়া শিবিরের দখলে। এখানে আপাতত দ্বিতীয় স্থানে তৃণমূল (TMC)।
[আরও পড়ুন: Congress Candidate List: ৬৭ জনের তালিকা ঘোষণা কংগ্রেসের, দলে যোগ দিয়েই প্রার্থী তৃণমূলের ২ বিদায়ী কাউন্সিলর]
কথায় বলে মর্নিং শোজ দ্য ডে। ত্রিপুরার সকালের হাওয়াই বলে দিচ্ছে ভোটের ফলাফল কোন দিকে এগোচ্ছে। পুরসভা যে শাসকদলের দখলেই থাকতে চলেছে, তা অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। তবে বেশ কিছু আসনে লড়াই দিচ্ছে সিপিএম। আর প্রথমবার ময়দানে নেমেও তৃণমূল যে পুরোপুরি ফ্যাকাসে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ত্রিপুরায় নির্বাচনের নামে প্রসহনের অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকী গণনা স্থগিত রাখার আবেদনও জানানো হয়। গত শুক্রবার শীর্ষ আদালতের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের কাছে আবেদন জানান তৃণমূলের আইনজীবী কপিল সিব্বল। আগরতলার য় তৃণমূলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও পুনরায় ভোটের দাবি জানান। তবে বিপ্লব দেবের সরকারের দাবি, শান্তিপূর্ণ ভাবেই সম্পন্ন হয়েছে পুরভোট।