shono
Advertisement

সরকারি চাকরিতে নিয়োগের দায়িত্ব বেসরকারি সংস্থার! ত্রিপুরা সরকারের বিজ্ঞপ্তি ঘিরে বিতর্ক

মোট ৫ সংস্থার উপর এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
Posted: 07:32 PM Mar 11, 2021Updated: 07:59 PM Mar 11, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নানা সময়ে নানা বিষয় নিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েছে ত্রিপুরার (Tripura) বিপ্লব দেব সরকার। কখনও শিক্ষক নিয়োগ, কখনও সরকারি চাকরিতে নিয়োগ নিয়ে সরকারি সিদ্ধান্ত সমালোচনার মুখে পড়েছে। এবার সরকারি চাকরিতে নিয়োগের দায়িত্ব বেসরকারি সংস্থার হাতে দিয়ে বিতর্কে আরও ইন্ধন জোগাল। বৃহস্পতিবার এ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে এমপ্লয়মেন্ট সার্ভিসেস অ্যান্ড ম্যানপাওয়ার প্ল্যানিং ডিপার্টমেন্ট।

Advertisement

সরকারি চাকরির যে কোনও স্তরে সাধারণত পরীক্ষা থেকে নিয়োগ – সবই হয় সরকারের তরফে। অন্যান্য রাজ্যের মতো ত্রিপুরাতেও পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (TPSC) মাধ্যমে নিয়োগ করা হয়ে থাকে। কিন্তু ত্রিপুরায় সম্প্রতি মোট ৫টি সংস্থার উপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সরকারি চাকরিতে নিয়োগের জন্য। এমপ্লয়মেন্ট সার্ভিসেস অ্যান্ড ম্যানপাওয়ার প্ল্যানিং ডিপার্টমেন্টের তরফে ডিরেক্টর নরেশ বাবুর স্বাক্ষর করা বিজ্ঞপ্তিতে লেখা, এই বিভাগের তরফে কয়েকটি এজেন্সিকে এই কাজ করার জন্য বরাত দেওয়া হয়েছে। এর জন্য ওই সংস্থাগুলি কমিশনও পাবে। দিল্লি এবং আগরতলার ৫ টি এজেন্সিকে কাজের বরাত দেওয়া হয়েছে।

[আরও পড়ুন: ‘করোনার বিরুদ্ধেও লড়াইয়ের শক্তি জুগিয়েছে এই গ্রন্থ’, ভগবত গীতার প্রশস্তিতে প্রধানমন্ত্রী]

যদিও এর পাশাপাশি বিভিন্ন দপ্তরে শূন্যপদের অনেকটা আবার পূরণ করছে সরকার নিজেই। সম্প্রতি বিজেপি জোট সরকারের তিন বছর পূর্তিতে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব জানিয়েছেন, ৯০ হাজারের উপর রাজ্যে বেকার যুবক, যুবতীদের কর্মসংস্থান করা হয়েছে। বিকল্প কর্মসংস্থানের দিকেই ঝুঁকছে রাজ্য। সম্প্রতি সরকারি কর্মচারী দেওয়া হয়েছে ৩ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা। যদিও আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে লোক নিয়োগের সিদ্ধান্তে সমালোচনা করেছেন বিরোধীরা। এই ব্যাপারে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ জানিয়েছেন, বিভিন্ন বিকল্প কর্মসংস্থানের মাধ্যমে বেকার সমস্যা দূরীকরণ করা হচ্ছে ত্রিপুরায়। তিন বছর পূর্তি উপলক্ষে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের উন্নয়নের রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করে সরকার।

[আরও পড়ুন: বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশে স্কুলের ভিতর ভাঙল গান্ধীজির মূর্তি, এলাকায় চাঞ্চল্য]

এর আগে বাম জমানায় ত্রিপুরায় ১০ হাজার ৩২৩ জন শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু চাকরি প্রদানের ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগে সেই সময় ত্রিপুরা হাই কোর্ট সেই নিয়োগ বাতিল করে দেয়। পরবর্তী সময়ে হাই কোর্টের আদেশ বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্টও। তারপর বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে ওই শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ আরও দু’বছর বাড়ানো হয়। কিন্তু এরপর তাঁদের চাকরির মেয়াদ বাড়াতে অস্বীকার করে শীর্ষ আদালত। সম্প্রতি এ নিয়ে পুলিশ-আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজধানী আগরতলা। এ প্রসঙ্গেও ত্রিপুরা সরকারের ভূমিকা সমালোচিত হয়। এবার সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ভার বেসরকারি সংস্থার হাতে দিয়ে আরও বিতর্কে জড়াল বিপ্লব দেবের সরকার।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement