সন্দীপ চক্রবর্তী: ফের তৃণমূলের (TMC) কর্মসূচিতে বাধা। বৃহস্পতিবারের গণ অবস্থানের অনুমতি দিল না ত্রিপুরা পুলিশ। পুলিশের এই আচরণের তীব্র নিন্দা করেছেন তৃণমূল নেতারা।
পুরভোটে (Civic Polls) হিংসা, ভোটদানে বাধা ও গণতন্ত্রকে প্রহসনে পরিণত করা হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার বেলা বারোটা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত আগরতলার ওরিয়েন্ট চৌমুহনিতে গণঅবস্থানের ডাক দিয়েছিল স্থানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। ৪৮ ঘণ্টা আগে কর্মসূচির জন্য অনুমতিও চাওয়া হয়। তবে বুধবার পশ্চিম ত্রিপুরার এসডিপিও (সদর) রমেশ যাদব তৃণমূলের রাজ্য আহ্বায়ক সুবল ভৌমিককে চিঠিতে জানান, ওই স্থানে গণ অবস্থানের অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। কাজের দিনে বেশি সংখ্যায় লোক হলে ট্রাফিক সমস্যা ও সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ হতে পারে বলে চিঠিতে সাফাই দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: বেসরকারিকরণের প্রতিবাদ, দেশজুড়ে পরপর দু’দিন ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের হুমকি কর্মী সংগঠনগুলির]
তবে আস্তাবল মাঠে ওই কর্মসূচি করার প্রস্তাব দেয় পুলিশ। সুবল ভৌমিকের বক্তব্য, “ময়দানে কীভাবে গণ অবস্থান হয়? এই রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় কোনও দলের যে সুবিধা পাওয়া উচিত সেটা তৃণমূলকে দেওয়া হচ্ছে না। পুলিশ দলদাসের ভূমিকা নিয়েছে। আমরা অচিরেই কর্মসূচি করব। তৃণমূলকে এভাবে আটকে রাখা যাবে না।”
এদিকে, এদিন আগরতলা নিম্ন আদালতে করোনা আইন ভাঙার অভিযোগের মামলায় জামিন নিয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য মানিক সরকার। পুলিশ জানায়, ২০২০ সালের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত কোভিড পরিস্থিতির কারণে জমায়েত, সভায় নিষেধাজ্ঞা ছিল। ওই বছরের ২৬ আগস্ট আগরতলায় দশ দফা দাবিকে সামনে রেখে আন্দোলন করে সিপিএম। সেই ঘটনায় মানিক সরকার-সহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। এর মধ্যে গৌতম দাস প্রয়াত হয়েছেন। এদিন আটজন জামিন নেন। মানিকবাবুর বক্তব্য, “উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মামলা হয়েছে। সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। রাজ্যে একদলীয় শাসন চলছে।”