সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলার তৃণমূল যুব নেতাদের গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে গত মাসে উত্তাল হয়েছিল ত্রিপুরার রাজনীতি (TMC in Tripura)। খোয়াই থানায় দীর্ঘক্ষণ ধরনায় বসেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতেই ফের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য খোয়াই থানায় তলব করা হল অভিষেক, কুণাল ঘোষ-সহ মোট পাঁচজনকে।
অভিষেক এবং কুণাল ঘোষের পাশাপাশি শনিবার ত্রিপুরা পুলিশের তরফে নোটিস পাঠানো হয় তৃণমূল নেত্রী দোলা সেন, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং শাসক শিবিরে যোগ দেওয়া সুবল ভৌমিককে। নোটিসে লেখা হয়েছে, ওই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই তলব করা হয়েছে তাঁদের। নোটিস পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন অভিষেক। জানিয়েছেন, তদন্তে সবরকম সাহায্য করতে তিনি প্রস্তুত। হাজিরাও দেবেন। একই কথা শোনা গেল কুণাল ঘোষের মুখেও।
[আরও পড়ুন: এবার বুরারি কাণ্ডের ছায়া কর্ণাটকে, একই পরিবারের ৫ জনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার]
আগামী ২২ সেপ্টেম্বর আগরতলায় মহামিছিলে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা অভিষেকের। এর আগে দু’বার অনুমতি মেলেনি। তবুও যে কোনওভাবে ত্রিপুরায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) পদযাত্রার আয়োজন করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর তার আগেই অভিষেক-সহ পাঁচজনকে সমন পাঠানো বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
উল্লেখ্য, আগস্টের গোড়ার দিকে দলীয় এক কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাওয়ার সময় ত্রিপুরায় তৃণমূলের যুবনেতৃত্বকে রাস্তায় আটকানো হয়। সেখানে দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা ও জয়া দত্তদের উপর হামলা চলে বলে অভিযোগ। মাথা ফেটে যায় সুদীপ রাহার, কানে আঘাত পান জয়া দত্ত। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। কার্যত গোটা ত্রিপুরা অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। এরপরই তাঁদের গ্রেপ্তার করা হলে খোয়াই থানায় অবস্থানে বসেন অভিষেক, কুণাল ঘোষরা। ধৃতদের মুক্তির দাবি তোলেন। কিন্তু জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের হওয়ায় ধৃত নেতাদের তোলা হয় আদালতে। সেই সময়ও থানাতেই বসেছিলেন অভিষেক। সেখান থেকেই নজর রাখছিলেন পরিস্থিতির উপর। দলের নেতারা জামিন পাওয়ার পর ক্ষোভ উগড়ে দেন ত্রিপুরার বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে। একইভাবে জয়া দত্ত, দেবাংশু ভট্টাচার্যও ত্রিপুরা সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন। হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এভাবে তাঁদের রোখা যাবে না। সেদিন থানায় তৃণমূলের অবস্থানের জেরেই এবার মামলা রুজু করল ত্রিপুরা পুলিশ।