স্টাফ রিপোর্টার: প্রথমে স্টিয়ারিং কমিটি। তার পর পূর্ণাঙ্গ রাজ্য কমিটি। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করে ত্রিপুরায় মূল লড়াইয়ে নেমে পড়তে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর ত্রিপুরা সফরে যাচ্ছেন দলের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। ওইদিনই পদযাত্রা শেষে ঘোষণা হতে পারে স্টিয়ারিং কমিটি।
এ পর্যন্ত যদিও উল্লেখযোগ্য কোনও নেতৃত্ব তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেননি। প্রাক্তন বিধায়কদের মধ্যে কেউ কেউ যোগ দিয়েছেন। আরও যোগদান হবে বলে দাবি করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তার মধ্যেই প্রথম পর্যায়ে স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করা হতে পারে। সেই কমিটি গঠন নিয়ে ইতিমধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে তৎপরতা শুরু হয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতেই সেই কমিটি ঘোষিত হতে পারে।
[আরও পড়ুন: কর্ণাটকের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে মন্দির ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ, প্রতিবাদে সরব কংগ্রেস]
এর মধ্যেই শনিবার আগরতলায় কর্মী সমাবেশ করে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব ছিলেন সুস্মিতা দেব, ডা. কাকলি ঘোষদস্তিদার, কুণাল ঘোষ প্রমুখ। অভিষেকের পদযাত্রা সফল করার জন্য বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার জানিয়েছেন, ত্রিপুরার (Tripura) সব অংশের মহিলাদের জন্য কাজ করবে তৃণমূল কংগ্রেস। পশ্চিমবঙ্গের ধাঁচে বিভিন্ন কর্মসূচি প্রণয়ন করা হবে। সুস্মিতা দেব একইসঙ্গে দাবি করেছেন, রাজ্যে কর্মচ্যুত শিক্ষকদের সমস্যার সমাধান করা হবে।
[আরও পড়ুন: দেশের করোনা পরিসংখ্যানে বড়সড় স্বস্তি, একধাক্কায় অনেকটা কমল দৈনিক সংক্রমণ ও অ্যাকটিভ কেস]
আসলে ত্রিপুরা দখলে রাজ্যের ৪৯ শতাংশ মহিলা ভোটকে টার্গেট করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সম্ভবত সেকারণেই মহিলা ভোটারের উপর বেশি জোর দিচ্ছে তৃণমূল। স্থানীয় স্তরে আলাদা করে মহিলা তৃণমূলের সংঠন তৈরির উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। প্রতি বিধানসভার (Tripura Assembly Election) জন্যে খোলা হচ্ছে আলাদা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। সংগঠনের মহিলা সদস্যদের টার্গেট ১০০০টি বাড়িতে গিয়ে প্রচার করা। ত্রিপুরার ৬০ বিধানসভা আসন ভাগ করে দুর্গাপুজোর সময় আলাদা করে প্রচার করা হবে। পাড়ায় পাড়ায় চালাতে হবে মহিষাসুরমর্দিনী। তৃণমূলের প্রচারে হাতিয়ার হবে স্বাস্থ্য সাথী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, রুপশ্রীর মতো প্রকল্প।