সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে (Turkey-Syria Earthquake) মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছে ২১ হাজার। বিপর্যয়ের ছোবলে চারদিক তছনছ হয়ে গিয়েছে। যেদিকে চোখ যায় শুধুই ধ্বংস, হতাশা, স্বজন হারানোর কান্না। বাড়তে থাকা মৃতের সংখ্যার পাশাপাশি প্রবল শৈত্য ও খিদের জ্বালায় জ্বলছেন ভূমিকম্পে (Earthquake) গৃহহারা মানুষেরা। এই অবস্থায় বাড়ছে ক্ষোভ। আর সেই ক্ষোভের মূল তির দুই দশক ধরে সেদেশের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এর্দোগানের দিকে।
সেদেশের এক সাধারণ নাগরিক হাকান তানরিভেরদির বার্তা, ”এরপর আর ভোট চাইতে এখানে আসছেন না।” সামনেই সেদেশের নির্বাচন। ১৪ মে ভোটে জিতে গেলে তুরস্কের সরকার ২০২৮ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ নাগরিকরা ফুঁসছেন। তাঁদের অভিযোগ, প্রশাসন সেভাবে সক্রিয়তা দেখাচ্ছে না। পাশাপাশি বিরোধীরাও এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে এগোতে চাইছে। সাধারণ অবস্থায় ভোট হলে কার্যতই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এর্দোগানের ফের নির্বাচিত হওয়ার কথা। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে বিরোধীরা চাইছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়তে। আর যদি তা হয় তাহলে এর্দোগানের পক্ষে উপদ্রুত অঞ্চলগুলিতে ভোটারদের কাছে আসাটাই কঠিন। ক্ষোভের পরিমাণ এতটাই।
[আরও পড়ুন: অল্ট বালাজির প্রধান পদ ছাড়লেন একতা কাপুর ও তাঁর মা শোভা কাপুর, কিন্তু কেন?]
শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত তুরস্কে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২১ হাজার ৫১-তে। এর মধ্যে সিরিয়াতে প্রাণ হারিয়েছেন ৩ হাজার ৩৭৭ জন। বাকিরা তুরস্কে। আহতের সংখ্যা ৭২ হাজার ৮৭৯। এই পরিস্থিতিতে মানুষের অভিযোগ, উদ্ধারকাজ ও ত্রাণ বণ্টন ঠিকভাবে হচ্ছে না। আসলে ভূমিকম্পের অভিঘাতে সড়কপথ কার্যতই বিপর্যস্ত। তার উপর চলছে শৈত্য প্রবাহ। এই পরিস্থিতিতে কাজ করতে অসুবিধার মুখে পড়তে হচ্ছে উদ্ধারকারীদের। ফলে গৃহহারা হয়ে পড়া মানুষের ক্ষোভ বেড়েই চলেছে।