স্টাফ রিপোর্টার: চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে খেলার আগে দলকে উদ্বুদ্ধ করে গেলেন টুটু বোস। মোহনবাগান সচিব এদিন প্র্যাকটিসে এলেও ক্লাব তাঁবুতে ঢোকেননি। কেন? তুকতাক, নাকি অন্য কিছু! যাই হোক না কেন, মাঠের মধ্যে ঢুকে ফুটবলারদের বুঝিয়ে দিলেন চার্চিলের বিরুদ্ধে হেরে যাওয়ার ঘটনাকে যেন সবাই মন থেকে মুছে ফেলে।
[আই লিগের ম্যাচে সমর্থকদের মাঠমুখী করতে বিশেষ উদ্যোগ মোহনবাগান ফ্যান ক্লাবের]
চার্চিলের কাছে হারার পর মোহনবাগান শিবিরে মনোবল টোল খেয়েছে। লিগ টেবিলে উপরের দিকে উঠে এলেও দলের মধ্যে সেই স্বতঃস্ফূর্ততা আর নেই বললেই চলে। অথচ সামনে আর এক কঠিন প্রতিপক্ষ। ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে চেন্নাই দেখিয়ে দিয়েছে এবার তারা লিগ জেতার জন্য কতটা প্রস্তুত। এমনিতেই চেন্নাই রয়েছে লিগ টেবিলের শীর্ষে। তার উপর খেলছে দুরন্ত। বিশেষ করে স্প্যানিশ ফুটবলারদের ছোঁয়ায় দলের চেহারাটাই যেন পাল্টে গিয়েছে। অথচ, এমন পরিস্থিতির সামনে দাঁড়িয়ে মোহনবাগান, যেখানে না জিতে উপায় নেই। ফলে, সবুজ-মেরুন শিবিরকে উজ্জীবিত করার জন্য মাঠে নেমে পড়তে হল স্বয়ং সচিবকে। টুটু বোস এদিন প্র্যাকটিস শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে ঢুকে পড়েন মাঠে। তারপর কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি কোচ শংকরলাল চক্রবর্তী-সহ ফুটবলারদের সঙ্গে দেখা করেন। প্রতে্যককে একটা কথাই ক্লাব সচিব বুঝিয়েছেন, চার্চিল ম্যাচের ঘটনাকে সকলে যেন মন থেকে মুছে ফেলে। যেভাবেই হোক তিন পয়েন্ট চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে পাওয়ার জন্য সকলকে শপথ নিতে বলেন তিনি। বুঝিয়ে দেন, আই লিগ পাওয়ার দৌড়ে এখনও মোহনবাগান কোনওভাবেই পিছিয়ে পড়েনি। শুধুমাত্র সকলের প্রচেষ্টা যদি ঠিকঠাক থাকে তাহলে আবার আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হবে তাঁর দলই। কয়েকটা ম্যাচে জিততে পারলেই দল খেতাবের দৌড়ে চলে আসবে।
[ছোটদের ডার্বি ঘিরে ফের উত্তপ্ত ময়দান, সমর্থকদের হাতে আক্রান্ত সাংবাদিক]
এদিন তিনি বুঝিয়ে দেন দুই প্রধানের মধ্যে শুধু ৯০ মিনিটের লড়াই যেন থাকে। তার বাইরে থাকবে শুধুই বন্ধুত্ব। “পল্টুদা (প্রয়াত ইস্টবেঙ্গল সচিব পল্টু দাস) সঙ্গে আমার লড়াই ছিল ৯০ মিনিটের। তারপর কিন্তু আমরা ছিলাম দু’জন দু’জনের বন্ধু। কিন্তু দুঃখের বিষয় খেলার পরেও যেভাবে দু’দলের সমর্থকরা রেষারেষিতে জড়িয়ে পড়ছেন তা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। এটা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।” বলেন টুটু বোস।
সেই সঙ্গে তিনি এও জানিয়ে দিয়েছেন, মোহনবাগান আগামী বছর আইএসএল খেলবেই।
The post মাঠে এসে ডিকাদের উদ্বুদ্ধ করলেন টুটু বোস appeared first on Sangbad Pratidin.