সুমন করাতি, হুগলি: বৈধ নথিপত্র ছাড়াই ভারতে প্রবেশ। হুগলির মগরার গঞ্জবাজারে ফুলকপি বিক্রি করার ফাঁকে গ্রেপ্তার দুই বাংলাদেশি। কী কারণে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশ তা এখনও স্পষ্ট নয়। বেশি আয়ের আশায় ভারতে এসেছিল দুজনে নাকি অন্য কোনও ছক, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
ধৃতদের নাম বিপ্লব দাস এবং রতন দাস। তারা বাংলাদেশের চট্টগ্রামের বাসিন্দা। বেশ কয়েকদিন হুগলির মগরাগঞ্জের বাজারে ফুলকপি বিক্রি করতে দেখা যায় অপরিচিত দুই যুবককে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তাঁদের প্রশ্ন করেছিলেন। দুই যুবক জানিয়েছিলেন তাঁদের বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপে। শীতের এই সময়ে ধান কাটা এবং আলু চাষের কাজ করতে হুগলি আসেন। হুগলির বিভিন্ন ব্লকে কাজ করেন। বাড়তি কিছু আয়ের আশায় বিকেলে বাজারের এক পাশে ফুলকপি বিক্রি করেন। তাদের কথায় অনেকেরই সন্দেহ হয়।
[আরও পড়ুন: কাঁকড়া ধরতে গিয়ে অঘটন! ৩ সঙ্গীর চোখের সামনে মৎস্যজীবীকে জঙ্গলে নিয়ে গেল বাঘ]
সে খবর যায় পুলিশের কানেও। পুলিশ বাজারে গিয়ে ওই দুই যুবকের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলে। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মগরা থানার পুলিশের দাবি, ধৃত দুজনের কাছে বৈধ পরিচয়পত্র ছিল না। তবে নাম জিজ্ঞাসা করলে তারা বিপ্লব এবং রতন দাস নামে নিজেদের পরিচয় দেয়। দুজনেই জানায় তারা বাংলাদেশের চট্টগ্রামের বাসিন্দা। পাসপোর্ট, ভিসা ছাড়া তারা ভারতে প্রবেশ করে। ঠিক কী কারণে মগরায় আসে তারা তা স্পষ্ট নয়। কার সাহায্য নিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিল দুজনে, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।