দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: বচসার জেরে বাজারের মধ্যে দুই ভাইকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করল প্রতিবেশী। ঘটনার পরই পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে অভিযুক্ত। সেই সময় যদিও তাকে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় অভিযুক্তকে। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির সিঙ্গুর (Singur) থানার মির্জাপুর বাজারে।
নির্মল মালিক ও রাজকুমার মালিক নামে ওই দুই যুবক চাষবাসের পাশাপাশি ব্যবসাও করতেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার সকালে মির্জাপুর বাজারের মধ্যেই মদ্যপ অবস্থায় ভোলা সাঁতরা নামে এক যুবককে ঘোরাফেরা করতে দেখেন স্থানীয়রা। তার হাতে ছিল ছুরি। ওই ছুরি নিয়ে আচমকাই দুই ভাইয়ের উপর চড়াও হয় ভোলা। দু’জনের গলা, বুক, মুখ ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এলোপাথাড়ি ছুরি দিয়ে কোপাতে থাকে সে। দুই ভাই রক্তাক্ত অবস্থায় বাজারের মধ্যে লুটিয়ে পড়েন।
[আরও পজডুন: রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানবন্দর তৈরিতে উদ্যোগী নবান্ন, কলকাতার আশপাশে শুরু জমির খোঁজ]
ঘটনার পরই পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ভোলা। সেই সময় স্থানীয়রা পিছু ধাওয়া করে ভোলাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। ঘটনার আকস্মিকতায় রীতিমতো হতবাক হয়ে যান প্রত্যেকে। তাঁরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। গুরুতর জখম অবস্থায় দুই ভাইকে উদ্ধার করে স্থানীয় সিঙ্গুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। নির্মল মালিক ও রাজকুমার মালিককে মৃত বলে জানান চিকিৎসকেরা।
স্থানীয়রা জানান, ভোলার সঙ্গে দুই ভাইয়ের অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। তা সত্ত্বেও ভোলা কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটাল তা বুঝতে পারছেন না কেউই। হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিশ সুপার আমনদীপ জানান, শুক্রবার সকালে দুই ভাইয়ের সঙ্গে ভোলার বচসা হয়েছিল। মদ্যপানের পর আক্রোশে দুই ভাইয়ের উপর ছুরি নিয়ে হামলা চালায়। পুলিশ জানিয়েছে জোড়া খুনের অভিযোগে ভোলা সাঁতরাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কী কারণে ভোলা খুন করেছে তা অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। অন্যদিকে, মৃত রাজকুমার মালিকের স্ত্রী গৌরী মালিক জানান, তাঁর স্বামীর সঙ্গে কারওর কোনও শত্রুতা ছিল না। তাঁর স্বামীকে কেন প্রতিবেশী খুন করল, তা বুঝতে পারছেন না তিনিও।স্বামী ও ভাসুরের খুনির কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ওই মহিলা।