দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: কাজ চলাকালীন হুগলির শ্রীরামপুর থানার পেয়ারাপুর এলাকার দিল্লি রোডে স্টিল কারখানায় বিস্ফোরণ। মৃত্যু হল দুই শ্রমিকের। জখম আরও তিনজন। তাঁদের মধ্যে দু’জন শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে ভরতি। আরেকজন কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আর্থিক সাহায্যের দাবিতে সরব নিহতের পরিবারের লোকজন-সহ অন্যান্য শ্রমিকরা।
অন্যান্য দিনের মতো বৃহস্পতিবার হুগলির শ্রীরামপুর থানার পেয়ারাপুর এলাকার দিল্লি রোডে স্টিল কারখানায় কাজ চলছিল। ঘড়ির কাঁটায় সকাল সাড়ে দশটা হবে। আচমকাই বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে চতুর্দিক। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা দেখেন ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছেন শ্রমিকরা। তড়িঘড়ি তাঁদের উদ্ধার করে স্থানীয় শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরাও যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চিকিৎসা শুরু করেন। জখমদের মধ্যে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে বলেই জানান চিকিৎসক। নিহতেরা হলেন গুঁইরাম দলুই এবং পঙ্কজ দাস। নিহতেরা ওই এলাকারই বাসিন্দা। এই ঘটনায় আরও তিনজন শ্রমিক জখম হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। তাঁকে কলকাতার নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘নিয়ম মেনে বাংলার প্রচুর ছেলেমেয়ে চাকরি পাবে’, নিয়োগ বিতর্কের মাঝে আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর]
গণেশ স্টিল নামে ওই কারখানাটিতে মূলত ছাঁট থেকে লোহা গলানো হয়। শ্রমিকরা গ্যাস দিয়ে লোহার ছাঁট কাটার কাজ করেন। সেই কাজের মাঝে বিপত্তি ঘটে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে কামানের গোলা গলানোর কাজ চলছিল, তা মানতে নারাজ ডিসিপি শ্রীরামপুর অরবিন্দ মেনন আনন্দ। তাঁর মতে, ধাতব সেল বিস্ফোরণে এই ঘটনা ঘটেছে। কামানের গোলা বিস্ফোরণ হয়নি।
নিহত এবং আহতদের আর্থিক সাহায্যের দাবিতে সরব শ্রমিকরা। কারখানার অফিস ঘরের সামনে তুমুল বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। স্থানীয় বিধায়ক অরিন্দম গুঁইনও ঘটনাস্থলে যান। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়।