বাবুল হক, মালদহ: রাতে স্বামীর সঙ্গে বচসা হয়েছিল। তার জেরে রবিবার সাতসকালে দুই কন্যাকে জলে ডুবিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ মায়ের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের (Maldah) চাঁচোল থানার মালতিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার অনুপনগর গ্রামে।
জানা গিয়েছে, মৃত দুই শিশুকন্যার বয়স আট ও দশ বছর। রবিবার সকালে গ্রামের একটি পুকুরে দুই নাবালিকার দেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় থানায়। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। ঘটনাস্থলে যান চাঁচোল মহকুমার এসডিপিও শুভেন্দু মণ্ডল এবং থানার আইসি সুকুমার ঘোষ। উত্তেজিত জনতার হাত থেকে কোনওরকমে অভিযুক্ত মাম্পি মণ্ডল ও আরও এক মহিলাকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরিস্থিতি যাতে ফের উত্তপ্ত না হয় সেই কারণে এখনও এলাকায় রয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী।
[আরও পড়ুন: আদিবাসী গৃহবধূকে ‘ধর্ষণের পর খুন’, অভিযুক্তের গ্রেপ্তারির দাবিতে উত্তপ্ত ডেবরা]
ঠিক কী হয়েছিল শনিবার? মৃতদের বাবা চঞ্চল মণ্ডল বলেন, “রবিবার সন্ধেয় কাজ সেরে ফেরার পর রাতের খাবার নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে আমার ঝগড়া হয়। রাতে যে যার মতো ঘুমিয়ে পড়ি। বড় মেয়ে আমার পাশেই ঘুমিয়ে ছিল। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে হঠাৎ শুনি, আমার দুই মেয়ে পুকুরের জলে ডুবে গিয়েছে। তড়িঘড়ি করে বাড়ি থেকে ছুটে গিয়ে দেখি, মেয়েদের দেহ ভাসছে। বেশ কিছু গ্রামবাসী আমার স্ত্রীকে আটকে রেখেছে। পরে জানলাম, আমার স্ত্রী দুই মেয়েকে পুকুরের জলে ডুবিয়ে খুন করেছে।” চঞ্চলবাবু দাবি করেন, তাঁর স্ত্রী স্ত্রী মানসিক ভারসাম্যহীন। যার জেরে এই ঘটনা বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। তবে এর নেপথ্যে অন্য কোনও বিষয় রয়েছে কি না, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।