ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: করোনা পরিস্থিতিতে ডায়রিয়ার (Diarrhoea) থাবা। কামারহাটিতে ৫ টি ওয়ার্ডে লাফিয়ে বাড়ছে অসুস্থের সংখ্যা। ইতিমধ্যেই মৃত্যু ২ জনের। চিকিৎসা পরিষেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে সাগর দত্ত হাসপাতালের চিকিৎসকদের।
জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগেই পেট ব্যথা, বমি নিয়ে কয়েকজন রোগী ভরতি হন সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ক্রমশ বাড়তে থাকে একই উপসর্গযুক্ত রোগীর সংখ্যা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত কামারহাটি পুরসভার পাঁচটি ওয়ার্ডের বাসিন্দারাই আক্রান্ত হচ্ছেন ডায়রিয়ায়।
[আরও পড়ুন: লাগবে না পৃথক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে’ই মিলবে যক্ষ্মা রোগীর মাসিক ভাতা!]
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে (College of Medicine & Sagore Dutta Hospital) পেট ব্যথা, বমি নিয়ে ভরতি রয়েছেন ৬৮ জন। এছাড়া ৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের পাঠানো হয়েছে অন্যত্র। মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। হাসপাতাল সূত্রে খবর, যত রোগী আসছে তাতে সামাল দেওয়া অত্যন্ত কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসকরা জরুরি বিভাগে পরিষেবা দিচ্ছেন। অবিলম্বে চিকিৎসকের সংখ্যা না বাড়ালে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই নমুনা পাঠানো হয়েছে নাইসেডে।
মনে করা হচ্ছে, জলের কারণেই ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের এই পরিস্থিতি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার দিকে নজর দিয়েছে প্রশাসন। করোনা (Corona Virus) পরিস্থিতির মাঝে এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কে স্থানীয়রা। কামারহাটির পুর প্রশাসক গোপাল সাহা জানিয়েছেন, “প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে জল থেকেই এই রোগ ছড়িয়েছে। সংক্রমণ দ্রুত হারে ছড়িয়ে পড়েছে। এক রাতে দু’ জনের মৃত্যু হয়েছে।অবস্থা সামাল দিতে স্বাস্থ্যভবনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। পরিশ্রুত পানীয় জলের ট্যাংক পাঠানো হয়েছে। জলের নমুনা পরীক্ষা করার জন্য স্বাস্থ্য ভবনের কাছে আবেদন করা হয়েছে। কামারহাটির মানুষের কাছে আবেদন, আতঙ্ক নয়, সতর্ক থাকুন।”