অতুলচন্দ্র নাগ, ডোমকল: জমি বিবাদের জেরে মঙ্গলবার বিকালে প্রতিবেশীদের ছোড়া বোমা, গুলিতে মৃত্যু হল এক যুবক এবং এক মহিলার। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগর এলাকার ঘটনা। ঘটনার জেরে এলাকায় উত্তেজনা থাকায় নামানো হয়েছে বিশাল পুলিশ (Police) বাহিনী। তবে এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য।
ঘটনার সূত্রপাত দিন কয়েক আগে। রানিনগরে বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া চর বাঁশগাড়া গ্রামের বাসিন্দা পিয়ারুল শেখ লোকজন নিয়ে জেসিপির সাহায্যে নিজের জমির মাটি অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই কাজে প্রতিবেশী জাহাঙ্গিরের জায়গায় ব্যবহার হচ্ছিল। অভিযোগ, জাহাঙ্গিরের জমি ব্যবহার হলেও তাঁর অনুমতি নেওয়া হয়নি। এই নিয়ে দু’ পক্ষের মধ্যে চসা থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। দু’ পক্ষের মোট ৪ জন সেদিন জখমও হন। থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। পরে এলাকার মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে বিষয়টি তখনকার মতো মিটে যায়।
[আরও পড়ুন: ‘নারায়ণী ব্যাটেলিয়ান নিয়ে মোদি মিথ্যা বলছেন’, আরটিআই তথ্য তুলে তীব্র আক্রমণ মমতার]
অভিযোগ মঙ্গলবার দুপুরে জাহাঙ্গির, পিয়ারুলের জমিতে ছাগল ঢুকিয়ে ফসল খাইয়ে দেন। ফের ঝামেলা শুরু হয়ে যায়। এবার জাহাঙ্গির, বজলুর রহমান, ইমরান নামের কয়েক জনকে নিয়ে হামলা চালায় পিয়ারুলদের উপর। ব্যাপক গুলি বোমা ছোড়া হয়। তাতে পিয়ারুলের ছেলে সুজনের (২২) ডানহাত উড়ে যায়, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। গুরুতর যখম হন সুজনের কাকিমা মলিনা বিবি (৩৫)। তাঁকে রানিনগরের গোধনপাড়া ব্লক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। জখম হয়েছেন আরও কয়েক জন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা ফাটিয়েছে বজলুররা।
ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছন ডোমকলের এসডিপিও উৎপল পুরকাইত। তিনি বলেন, “ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক। তাঁদের ধরার চেষ্টা চলছে।” মৃতদের এক আত্মীয় আজিম শেখ দাবি করেছেন “এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। দু’ পক্ষই তৃণমূলের সমর্থক।” মালিবাড়ি ১ নম্বর গ্রামপঞ্চায়েতের সদস্য মজিবর রহমানও দাবি করেছেন, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই।