shono
Advertisement
Murshidabad

চিতাবাঘের ছাল পাচারের চেষ্টা, গ্রেপ্তার মুর্শিদাবাদের ২ তৃণমূল নেতা

৮৮ সেন্টিমিটারের ওই চিতাবাঘের ছালটির বাজারদর আনুমানিক ১০ লক্ষ টাকা।
Published By: Sayani SenPosted: 05:06 PM May 22, 2024Updated: 05:07 PM May 22, 2024

সাবিরুজ্জামান, লালবাগ: চিতাবাঘের ছাল পাচারকারী সন্দেহে তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী-সহ ২। ওয়াইল্ড লাইভ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরো এবং বহরমপুর উত্তর-দক্ষিণ বনদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে ক্রেতা সেজে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার তাদের আদালতে তোলা হবে।

Advertisement

ধৃত সাবিরুল ইসলাম এবং মাসারুল মণ্ডল সম্পর্কে দুই ভাই। মুর্শিদাবাদের তেঁতুলিয়ার গুধিয়া গ্রামের বাসিন্দা। সাবিরুল তেঁতুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধানের স্বামী। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে টিকিট পাননি। তাই অধীর চৌধুরীর হাত ধরে কংগ্রেসে যোগ দেন। বিদায়ী তৃণমূল সাংসদ আবু তাহের খানের ঘনিষ্ঠ হিসাবেও পরিচিত সাবিরুল। ফের লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলে ফেরেন। দুজনেই এলাকায় বেশ প্রভাবশালী বলেই পরিচিত।

[আরও পড়ুন: রাজ্যপালের বুকে বিজেপির ‘পদ্ম’, ছবি প্রকাশ্যে এনে ইস্তফার দাবি তৃণমূলের]

তাদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত চিতাবাঘের চামড়াটি বাজেয়াপ্ত করা হয়। ৮৮ সেন্টিমিটারের ওই চিতাবাঘের ছালটির বাজারদর আনুমানিক ১০ লক্ষ টাকা। গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে ক্রেতা সেজে বনদপ্তরের আধিকারিকরা মুর্শিদাবাদ থানার নতুন গ্রাম পঞ্চায়েতের মতিঝিল এলাকায় যান। একটি বেসরকারি হোটেলে ওই পাচারকারীদের ডাকেন। যথা সময়ে তারা ওই চমড়া নিয়ে হাজির হয়। এর পরই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। চিতাবাঘের চামড়াটি বেশ পুরনো বলেই মনে করছেন আধিকারিকরা। যদিও ধৃত সাবিরুল ইসলামের দাবি, চিতাবাঘের চামড়াটি তাঁর পূর্বপুরুষের। তিনি আরও বলেন, "গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের শিকার হলাম আমরা। দলের এক অঞ্চল নেতৃত্ব বনদপ্তরকে খোঁজ দিয়ে আমাদের গ্রেপ্তারের ছক কষে। চক্রান্ত ফাঁস হয়ে গিয়েছে।"

[আরও পড়ুন: ‘স্বামী প্রণবানন্দ না থাকলে বাংলাদেশে মিশে যেত বাংলা’, মুখ্যমন্ত্রীকে জবাব শাহের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • চিতাবাঘের ছাল পাচারকারী সন্দেহে তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী-সহ ২।
  • ৮৮ সেন্টিমিটারের ওই চিতাবাঘের ছালটির বাজারদর আনুমানিক ১০ লক্ষ টাকা।
  • ওয়াইল্ড লাইভ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরো এবং বহরমপুর উত্তর-দক্ষিণ বনদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে ক্রেতা সেজে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
Advertisement