সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একাধারে রাজনীতিবিদ আর অন্যদিকে দেশপ্রেমী। স্বাধীন ভারতে প্রধানমন্ত্রীর তখতে বসে যেমন দেশকে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে দিয়েছিলেন, তেমনই পরাধীন ভারতে ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াইয়েও শামিল হয়েছিলেন। ১৯৪২ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত প্রত্যক্ষভাবে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ী। স্বাধীনতা সংগ্রামে যোগ দিয়ে দু’বার জেলেও যেতে হয়েছে তাঁকে। সেই বাজপেয়ীকেই এদিন অনন্য সম্মান জানাল ব্রিটিশ হাই কমিশন।
[রাষ্ট্রীয় স্মৃতিস্থলে শেষকৃত্য সম্পন্ন বাজপেয়ীর, পঞ্চভূতে বিলীন ভারতীয় রাজনীতির ‘অজাতশত্রু’]
শুক্রবার পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন হয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর শেষকৃত্য। রাজনৈতিক মতাদর্শ, আদর্শগত মতভেদ সব ভুলে গোটা দেশের সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতারা হাজির হয়েছিলেন। রাষ্ট্রীয় স্মৃতিস্থলে পঞ্চভূতে বিলীন হন অটল। শেষ যাত্রার শুরু থেকেই পুরভাগে হাঁটেন মোদি-অমিত শাহরা। ছিলেন তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের সাক্ষী, দীর্ঘদিনের বন্ধু লালকৃষ্ণ আডবানী। রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি, তিন সেনার প্রধান- সকলেই ছিলেন। শুধু বিজেপি নয়, সারাজীবন ভিন্ন মেরুতে রাজনীতি করা সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংও পৌঁছে গিয়েছিলেন। এদেশের পাশাপাশি বিদেশ থেকেও এসেছিলেন তাঁর অসংখ্য গুণমুগ্ধ।
[বাংলার দই ও আমের ভক্ত ছিলেন বাজপেয়ী, পছন্দ ছিল মমতার মায়ের তৈরি নাড়ুও]
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর প্রয়াণে সাতদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকেই যা শুরু হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে অর্ধনমিত রাখা হয়েছে জাতীয় পতাকাও। রাজনীতির রং ভুলে গোটা দেশ নানাভাবে সম্মান জানাচ্ছে বাজপেয়ীকে। তাঁকে বিরল সম্মান দিল নয়াদিল্লির ব্রিটিশ হাই কমিশনও। অর্ধনমিত রাখা হল ইউনিয়ন জ্যাক। অটলজি অমর রহে হ্যাশ ট্যাগ সহযোগে কমিশনের তরফে টুইট করা হয়েছে, ব্রিটেন সর্বদা ভারতীয়দের পাশেই থাকবে। ভারতের বেলজিয়ামের দূতাবাসে অর্ধনমিত রয়েছে সে দেশের পতাকাও। বস্তুত, কোনও দেশে রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হলে অন্যান্য দেশের পতাকা অর্ধনমিত রাখাই নিয়ম। তবে বাজপেয়ীর জন্য ব্রিটেনের পতাকা অর্ধনমিত দেখে গর্বিত দেশবাসীও।
The post অনন্য সম্মান, বাজপেয়ীকে শ্রদ্ধা জানাতে অর্ধনমিত ব্রিটেনের পতাকাও appeared first on Sangbad Pratidin.