সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৪৩ বছরে সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফণী৷ যা ইতিমধ্যেই তাণ্ডব চালিয়েছে ওড়িশায়৷ প্রাণহানি হয়েছে ঠিকই৷ তবে বিশেষজ্ঞদের মতানুযায়ী ঝড়ের দাপটের তুলনায় তা নগণ্য৷ আগাম সতর্কতার জেরেই বড়সড় বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব হয়েছে বলেই দাবি রাষ্ট্রসংঘের৷ ফণীর খুঁটিনাটি তথ্য নিখুঁতভাবে সাধারণ মানুষের সামনে উপস্থাপন করার জন্য রাষ্ট্রসংঘের তরফে ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তরের প্রশংসাও করা হয়েছে৷
[ আরও পড়ুন: জগন্নাথের কাছে হার ফণীর, প্রবল দাপটেও অক্ষত পুরীর মন্দির]
প্রায় সপ্তাহখানেক আগেই পূর্বাভাস দিয়েছিল ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর৷ জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল এপ্রিলের শেষ থেকে মে-র শুরুতেই ভারতে আছড়ে পড়তে চলেছে ফণী৷ আবহবিদরা জানিয়েছিলেন, ক্যাটেগরি ৫-এর এই প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ওড়িশা উপকূল ছুঁয়ে প্রবেশ করবে পশ্চিমবঙ্গে৷ এরপর তা চলে যাবে বাংলাদেশে৷ আরও জানানো হয়েছিল, শুক্রবার বেলা ১২টা থেকেই ফণী তাণ্ডবলীলা শুরু করবে৷ আবহাওয়াবিদদের পূর্বাভাসই যেন সত্যি হল৷ ওইদিনই নির্ধারিত সময়ের ঘণ্টাতিনেক আগে ঠিক ৮টা ৫০ মিনিট নাগাদ ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়ে ফণী৷ ঝড়ের তীব্রতায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় ওড়িশার অন্তত ১১টি জেলা৷এখনও পর্যন্ত অন্তত ১৫ জনের প্রাণহানি হয়েছে৷ ভেঙে যায় গাছ৷ উড়ে যায় জলের ট্যাঙ্ক৷ তবে শনিবার থেকে ওড়িশার পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে৷ শুরু হয়েছে ভেঙে যাওয়া গাছের ডালপালা সরিয়ে রাস্তা ফাঁকা করার কাজ৷ ভুবনেশ্বর বিমানবন্দরও স্বাভাবিকের পথে৷
[ আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যেই জন্ম, মেয়ের নাম ফণী রাখলেন দম্পতি]
তবে প্রায় ২০০ কিলোমিটার বেগের ঝড়ের নিরিখে এই ক্ষতি নগণ্য বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের৷ এমন ভয়াবহ ঝড়ের গতিপথ সম্পর্কে মিনিটে মিনিটে নিখুঁত আপডেট দিয়ে গিয়েছে ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর৷ তাই সময় মতো মোকাবিলায় কোমর বেঁধে নামে প্রশাসন৷ প্রায় ১১ লক্ষ মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় নিরাপদ স্থানে৷ ত্রাণশিবিরগুলিতে পর্যাপ্ত খাবার ও জলের পাউচ প্যাকেটের জোগান রাখা হয়৷ আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী প্রশাসন আগাম সতর্ক না হলে প্রাণহানির সংখ্যা আরও বেড়ে যেত বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ ফণী মোকাবিলায় আবহাওয়া দপ্তরের ভূমিকার প্রশংসায় পঞ্চমুখ রাষ্ট্রসংঘ৷
The post নিখুঁত পূর্বাভাসেই এড়ানো গিয়েছে বড় ক্ষতি, আবহাওয়া দপ্তরের প্রশংসায় রাষ্ট্রসংঘ appeared first on Sangbad Pratidin.