অর্ণব আইচ ও নিরুফা খাতুন: ২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০২৫-এর নভেম্বর। প্রায় সাড়ে তিনবছর পর মুক্তির স্বাদ পেলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সংশোধনাগারের ঘুপচি ঘর, পুলিশ, হাতকড়া পর্ব পেরিয়ে অবশেষে ফের স্বাভাবিক জীবনের পথে। আর সেই মুহূর্তে বাঁধ মানল না আবেগ। হুইলচেয়ারে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে অনুগামীদের উন্মাদনা দেখে চোখে জল দেখা গেল তৃণমূলের বহিষ্কৃত দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতার। বাড়ি পৌঁছতেই তাঁকে বরণ করে নিলেন আত্মীয়রা। আইনজীবী জানালেন, সত্যের জয় হয়েছে।
নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে গত কয়েকবছর ধরেই উত্তাল বাংলা। মূল চক্রী অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গ্রেপ্তার করা হয়েছিল আরও অনেকক। তবে অনেকেই জামিনে আগেই মুক্ত হয়েছেন। তবে জামিন পেলেও পার্থ চট্টোপাধ্যায় মুক্তি আটকে ছিল সুপ্রিম কোর্টের কিছু শর্তের কারণে। শর্ত পূরণ হওয়ায় সোমবার পার্থকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তবে সেই মুহূর্তে হাসপাতালে ছিলেন তিনি। মঙ্গলবার দুপুরে যাবতীয় আইনি প্রক্রিয়া শেষে হাসপাতাল থেকে বেরলেন পার্থ। পরনে ছিল আকাশি রঙের পাঞ্জাবি, মুখে মাস্ক। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে গাড়িতে উঠতেই তাঁকে লক্ষ্য করে 'পার্থদা জিন্দাবাদ' স্লোগান তুললেন অনুগামীরা। দেখা গেল, বর্ষীয়ান এই নেতার চোখে জল। একটি শব্দও ব্যয় করলেন না তিনি।
গাড়ি হাসপাতাল থেকে সোজা পৌঁছয় নাকতলার বাড়িতে। সেখানে তাঁর জন্য অপেক্ষায় ছিলেন পরিবারের সদস্যরা। বরণ করে পার্থকে ঘরে নিয়ে যান তাঁরা। এতদিন পর প্রিয়জনদের দেখে ফের কেঁদে ফেলেন পার্থ। এরপরই বন্ধ করে দেওয়া হয় সদর দরজা। জানা গিয়েছে, বাড়ি ফিরেই ঠাকুরঘরে যান পার্থ। তাঁর আইনজীবী বিপ্লব গোস্বামীর কথায়, "সত্যের জয় হয়েছে।" তিনি বলেন, আপাতত কিছুদিন পার্থকে বিশ্রামে থাকার পরামর্শই দিয়েছেন চিকিৎসকরা। এরপর কী আইনি পদক্ষেপ করা হবে, তা জানাননি তিনি। তবে বলেন, "আইনি যা প্রক্রিয়া চলছে তা চলবে।"
