সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সরকারের দাবি তরতরিয়ে এগিয়ে চলেছে দেশের অর্থনীতি। প্রধানমন্ত্রী বলছেন ১৯৪৭ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হবে ভারত। কিন্তু বাস্তব কী বলছে? একদিন আগেই রঘুরাম রাজন বলেছিলেন, সরকার আর্থিক যে উন্নতির দাবি করছে সেটা পুরোপুরিই ভড়ং। সেটাই যেন প্রকাশ্যে এল আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার দেওয়া পরিসংখ্যানে। ওই পরিসংখ্যান বলছে, দেশের বেকারত্ব সবচেয়ে বেশি শিক্ষিত যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (ILO) এবং ইনস্টিটিউট ফর হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট ভারতের বেকার সমস্যা নিয়ে একটি যৌথ রিপোর্ট পেশ করেছে। ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, দেশের বেকারদের মধ্যে শিক্ষিত যুবকদের অনুপাত ক্রমশ বাড়ছে। এই শতাব্দীর শুরুতে দেশের বেকারদের মধ্যে শিক্ষিত যুবসমাজের হার বেড়ে দাঁড়ায় ৬৫.৭ শতাংশ। বর্তমানে দেশের বেকারদের মধ্যে ৭৬.৭ শতাংশ শিক্ষিত যুবক এবং ৬২.২ শতাংশ শিক্ষিত যুবতী।
[আরও পড়ুন: রানওয়েতেই দুই বিমানে সংঘর্ষ! ভয়ংকর কাণ্ড কলকাতা বিমানবন্দরে]
শুধু তাই নয়, সার্বিকভাবে দেশে বেকারদের মধ্যে যুবসমাজের হারটাই বেশি। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, দেশের বেকারদের মধ্যে যুব সম্প্রদায়ের অনুপাত বেড়ে হয়েছে ৮৩ শতাংশ! অর্থাৎ দেশের কর্মক্ষম জনসংখ্যার একটা বিরাট অংশ বেকার। তবে ওই রিপোর্টে আশার কথাও শোনানো হয়েছে। তাতে দাবি করা হয়েছে, ২০০০ সাল থেকে ২০১৯ পর্যন্ত দেশে বেকারত্ব নিম্নমুখী ছিল। তবে কোভিডের পর আবার সেটা বাড়ছে।
[আরও পড়ুন: কঙ্গনাকে ‘যৌনকর্মী’ বলে কটাক্ষ! কং নেত্রী সুপ্রিয়াকে শোকজ নির্বাচন কমিশনের]
একদিন আগেই রঘুরাম রাজন (Raghuram Rajan) বলছিলেন, "ভারতে কর্মক্ষম জনসংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। কিন্তু সেটা তখনই কাজে আসবে যখন সেই কর্মক্ষম যুবক-যুবতীদের ভালো কাজের সুযোগ তৈরি করা যাবে। তাঁদের জন্য আরও চাকরির ব্যবস্থা করা যাবে। সমস্যা হল, এখানেই আমরা পিছিয়ে পড়ছি।” আরবিআইয়ের প্রাক্তন গভর্নরের সেই বক্তব্য যে বিন্দুমাত্র অতিকথন নয়, সেটা এই পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট।