সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতে কর্মসংস্থান কমছে। হু-হু করে বাড়ছে বেকারত্বের হার। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান প্রকাশ্যে আসতে ফের অস্বস্তিতে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমির রিপোর্ট অনুসারে, ভারতের বেকারত্বের হার গত এক বছরের মধ্যে গত আগস্টে সর্বোচ্চ ছিল। ওই মাসে বেকারত্বের হার ছিল ৮.৩ শতাংশ। জুলাই মাসে বেকারত্বের হার ছিল ৬.৮ শতাংশ। সেখানে কর্মসংস্থান ছিল ৩৯.৭০ কোটি। আগস্টে তা আগের থেকে ২০ লক্ষ কমে ৩৯.৪৬ কোটি হয়েছে।
এই তথ্য সামনে আসার পরেই কেন্দ্রকে আক্রমণে নেমেছে বিরোধীরা। তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘মোদিকে অযোগ্য বলার কারণ সামনে।’ পাশাপাশি অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসুর টুইট, ‘মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে বেকারত্ব কষ্ট বাড়াচ্ছে।’ কেন্দ্রকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তাঁর পরামর্শ, সংকট কাটাতে সমস্ত নীতিতেই কেন্দ্রকে এই বিষয়ে মনোযোগ দেওয়াটাই সবথেকে জরুরি। সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমির (সিএমআইই) তরফে জানানো হয়েছে, শহরের বেকারত্বের হার গ্রামাঞ্চলের থেকে বেশি।
[আরও পড়ুন: বিলকিস বিতর্কের জের! মৃত্যু পর্যন্ত জেলেই থাকতে হবে ধর্ষকদের, প্রস্তাব মধ্যপ্রদেশে]
চলতি বছরের আগস্টে শহরের বেকারত্বের হার ছিল ৯.৬ শতাংশ। সেখানে গ্রামের বেকারত্বের হার দাঁড়িয়েছে ৭.৭ শতাংশ। সিএমআইই-র ম্যানেজিং ডিরেক্টর মহেশ ব্যাস এর জন্য চলতি বছরে অসম বৃষ্টিপাতের কারণে চাষের ব্যাপক ক্ষতিকেই দায়ী করেছেন।
সিএমআইই-র রিপোর্ট অনুযায়ী গ্রামাঞ্চলে জুলাই মাসে বেকারত্বের হার ছিল ৬.১ শতাংশ।
আগস্টে এক ধাক্কায় তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭.৭ শতাংশ। পাশাপাশি গ্রামে কর্মসংস্থান কমেছে। জুলাই মাসে গ্রামীণ ভারতে যেখানে কর্মসংস্থানের হার ছিল ৩৭.৬ শতাংশ, তা আগস্টে কমে ৩৭.৩ শতাংশ হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ব্যাস জানিয়েছেন, চলতি বছরে বৃষ্টিপাতের একটা সমস্যা দেখা দিয়েছে. কোথাও প্রবল বৃষ্টিপাত হয়েছে। তো কোথাও প্রয়োজনের থেকে অনেকটা কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর জেরে চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সেই কারণেই গ্রামীণ ভারতে কর্মসংস্থান কমেছে এবং বেকারত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে।
[আরও পড়ুন: অনলাইনে সেনার তথ্য পাকিস্তানে পাঠানোর অভিযোগ! ভূস্বর্গে গ্রেপ্তার মুসলিম ধর্মগুরু]
তবে আগামী মাসগুলিতে গ্রামে বেকারত্বের হার কমতে পারে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, বিলম্বিত বর্ষার জেরে একাধিক জায়গায় নতুন করে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। যার ফলে নতুন করে চাষের কাজ বৃদ্ধি পাবে। পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হবে। তবে শহরের বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পাবে, না কি হ্রাস পাবে তা এখনও স্পষ্ট নয় বলে তিনি মনে করছেন। এর জন্য আরও কিছুটা সময় প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তিনি।