shono
Advertisement

দিল্লি যাওয়ার আগে ঠাকুরবাড়িতে ফের রুদ্ধদ্বার বৈঠক, শান্তনুর সঙ্গে কথা পদ্মের বিক্ষুব্ধদের

বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হল, তা জানা যায়নি।
Posted: 08:39 AM Jan 10, 2022Updated: 08:40 AM Jan 10, 2022

জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: রাজ্য বিজেপিতে মতুয়া সম্প্রদায়কে বঞ্চনা করার বিষয়টি সর্বভারতীয় নেতৃত্বের কাছে তুলে ধরতে সোমবার দিল্লি যাচ্ছেন শান্তনু ঠাকুর। তার আগে ঠাকুরনগর গিয়ে তাঁর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করলেন বঙ্গ বিজেপির বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর চার নেতা সায়ন্তন‌ বসু, রীতেশ তেওয়ারি, জয়প্রকাশ মজুমদার ও সমীরণ সাহা। নিজের বাড়িতে সায়ন্তন-রীতেশদের সঙ্গে শান্তনুর প্রায় এক ঘণ্টার বৈঠকে ঠিক কী কথা হয়েছে, তা নিয়ে মুখ খোলেননি কেউই। তবে সূত্রের খবর, রাজ্য কমিটিতে যথাযথ মতুয়া প্রতিনিধিত্ব ও বনগাঁ জেলা বিজেপি সভাপতি পরিবর্তনের দাবির পাশাপাশি অমিত মালব্য- অমিতাভ চক্রবর্তীকে হঠানোর দাবিও যাতে দিল্লিতে অমিত শাহ-জে পি নাড্ডাদের সামনে তুলে ধরা হয়, তা নিয়ে কথা হয়েছে।

Advertisement

জানা যাচ্ছে, শান্তনুর সঙ্গে শীর্ষ নেতৃত্বের‌ আলোচনার নির্যাস বোঝার পর নিজেরাই দিল্লি যেতে পারেন সায়ন্তন-প্রতাপ-রীতেশ-জয়প্রকাশ-সমীরণরা। ক্ষোভ জানিয়ে পাঁচ অনুগামী বিধায়ককে নিয়ে দলীয় হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা মতুয়াদের নেতা শান্তনু ঠাকুরকে ফোন করেছিলেন অমিত শাহ ও জে পি নাড্ডা। দু’জনই বলেছিলেন, দিল্লি এসে তাঁদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলার‌ জন্য।

[আরও পড়ুন: আদালতের অনুমতিতে জনসমক্ষেই স্বেচ্ছামৃত্যু! হাসি মুখে পরিবারকে জানালেন বিদায়]

তারপরও শান্তনু দিল্লি না যাওয়ায় স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও ফোন করেন বলে খবর। এরপরই নিজের অনুগামী ও মতুয়া নেতাদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলে সোমবার দিল্লি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন শান্তনু। যে খবর পেয়ে ঠাকুরনগর গিয়ে এদিন শান্তনুর সঙ্গে বৈঠকে বসেন রীতেশ-সায়ন্তনরা। এদিকে নতুন কমিটি থেকে বাদ পড়া প্রবীণ নেতা রাজকমল পাঠক জানিয়েছেন, মতুয়াদের বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে শান্তনু ঠাকুর যে লড়াই চালাচ্ছেন, তার সঙ্গে তিনি একমত।

উল্লেখ্য, এর আগেও নিজের বাড়িতে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন শান্তনু। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়ার ঠিক ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঠাকুরনগরে নিজের বাড়িতে ৫ অনুগামী মতুয়া বিধায়ককে বৈঠকে ডেকেছিলেন। যদিও বৈঠকে প্রথমে হাজিরা দেন ৩ জন। তাঁদের মধ্যে একজন শান্তনুর অগ্রজ সুব্রত ঠাকুর। বাকি দু’ জন বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া ও হরিণঘাটার বিধায়ক অসীম সরকার। বৈঠকে দেরিতে পৌঁছন রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী, কল্যাণীর বিধায়ক অম্বিকা রায়। মতুয়া বিদ্রোহের আবহে আবারও নিজের বাড়িতে শান্তনুর বৈঠককে ঘিরে গেরুয়া শিবিরে চর্চা চলছে। 

[আরও পড়ুন: স্কুল বন্ধ থাকায় অসৎ সঙ্গে পড়ে মাদকাসক্ত ছেলে, শাস্তি দিতে শিকলবন্দি করল বাবা!]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement