সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সব জল্পনার অবসান। প্রকাশ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার (PM Narendra Modi’s New Cabinet) নয়া ৪৩ সদস্যের নাম। শুরু হয়ে গিয়েছে শপথগ্রহণ। তার ঠিক আগেই পদত্যাগ করলেন মোদি সরকারের মন্ত্রিসভার (Cabinet) আরও দুই গুরুত্বরপূর্ণ নাম রবিশংকর প্রসাদ (Ravi Shankar Prasad) এবং প্রকাশ জাভড়েকর (Prakash Javadekar)। সব মিলিয়ে পদত্যাগ করলেন ১২ জন মন্ত্রী।
আগে থেকেই জল্পনা ছিল মোদি সরকারের রদবদল হতে পারে আজই। তার ঠিক আগে পদত্যাগ করেন একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাঁদের সঙ্গে মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ও (Babul Supriyo)। যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা ইস্তফা দিয়েছেন তাঁদের অন্যতম কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন (Harsh Vardhan) ও কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক (Ramesh Pokhriyal Nishank)। এছাড়াও পদত্যাগ করেছেন সদানন্দ গৌড়া, দেবশ্রী চৌধুরী, সঞ্জয় ধোত্রে ও রতনলাল কাতারিয়ার মতো মন্ত্রীরা। উল্লেখ্য, বাংলা থেকে মন্ত্রিত্ব পেয়েছেন চার সাংসদ- সুভাষ সরকার, নিশীথ প্রামাণিক, জন বার্লা ও শান্তনু ঠাকুর।
আগে থেকেই শোনা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রদবদল হওয়ার পূর্ণ সম্ভাবনা রয়েছে বুধবার। সন্ধে ছ’টা নাগাদ রাষ্ট্রপতি ভবনের অশোক হলে মোদি সরকারের নতুন মন্ত্রীরা শপথ নিতে পারেন। সেই সম্ভাবনাই জোরদার হয়ে গিয়েছে এতজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদত্যাগের ঘটনায়।
[আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনার বলি ৯৩০, সুস্থতার হার বেড়ে ৯৭.১৮ শতাংশ]
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় বর্তমানে ২৯টি পদ ফাঁকা রয়েছে। যার মধ্যে ১৭ থেকে ২২ জন নতুন মুখ এবারের রদবদলে আসতে পারেন। যার মধ্যে পূর্ণমন্ত্রীর পদ পেতে পারেন ছয় জন। জল্পনার তালিকায় মধ্যপ্রদেশের নেতা বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল, বিহারের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী বর্তমানে রাজ্যসভার সাংসদ সুশীল মোদি, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বর্তমানে রাজ্যসভার সাংসদ নারায়ণ রানের নাম ছিল। তালিকা পাওয়ার পর দেখা যাচ্ছে, সেই অনুমানই সত্যি হওয়ার পথে।
এদিকে মঙ্গলবার আট রাজ্যে নতুন রাজ্যপাল নিয়োগের নির্দেশিকা জারি করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ (Ram Nath Kovind)। সেই তালিকায় রয়েছে থাওয়ারচাঁদ গেহলটের (Thaawarchand Gehlot) নামও। কর্ণাটকের রাজ্যপাল হচ্ছেন তিনি। গেহলট কেবল কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ মন্ত্রীই নন, রাজ্যসভার নেতাও। ফলে তিনি রাজ্যপাল হয়ে যাওয়ার ফলে ওই স্থানটিও শূন্য হয়ে গেল। সেই পদে কে আসবেন তা নিয়েও জল্পনা রয়েছে।