shono
Advertisement

নাচের অছিলায় জোর করে হাত ধরে টেনেছে বরের বন্ধুরা, প্রতিবাদে বিয়েই ভাঙলেন তরুণী

পাত্রের পরিবারের বিরুদ্ধে পণ নেওয়ার অভিযোগে থানাতেও যান মেয়ের বাবা।
Posted: 05:23 PM Dec 14, 2020Updated: 05:23 PM Dec 14, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের বরেলি জেলার পাত্র। ‘শিক্ষিত’। মানে মাস্টার ডিগ্রি রয়েছে। পাত্রী? কনৌজ জেলার। তাঁরও মাস্টার ডিগ্রি রয়েছে। দুই পক্ষের কথাবার্তা পাকা করেই বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক হয়েছিল। করোনা (CoronaVirus) কালে বিয়ে সারতে বরেলি পৌঁছেছিলেন কনে ও তাঁর পরিবার। মণ্ডপে ওঠার প্রতীক্ষায় ছিলেন। কিন্তু তার আগে নিজেই নিজের ভেঙে দিলেন তরুণী। অভিযোগ, বরের বন্ধুরা বিয়ের আসরে নাচের জন্য জোর করেছে তাঁকে। রীতিমতো হাত ধরে টানাটানি করেছে। এই অসম্মান মেনে নেননি উত্তরপ্রদেশের তরুণী। বিয়ের আসর ছেড়ে ফিরে গিয়েছেন বাপের বাড়ি।

Advertisement

মেয়ের সিদ্ধান্তকে পুরোপুরি সমর্থন করেছেন কনের বাবা। জানান, যে পাত্র হবু স্ত্রীর সম্মান রক্ষা করতে পারেন না, তাঁর জন্য মুখ ফুটে কিছু বলতে পারেন না, তাঁর সঙ্গে বিয়ে করে সারা জীবন নষ্ট করার কোনও মানে নেই। শোনা গিয়েছে, পাত্র ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে পণ নেওয়ার অভিযোগে থানায় মামলা করতেও গিয়েছিলেন মেয়ের বাবা। কিন্তু পরে থানার বাইরেই বিষয়টির মীমাংসা হয়ে যায়। মিটমাট করার জন্য নাকি পাত্রের পরিবারের তরফে ক্ষতিপূরণ হিসেবে সাড়ে ছয় লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। তাই পুলিশের খাতায় কোনও লিখিত অভিযোগ আর জানানো হয়নি।

[আরও পড়ুন: লাভ জেহাদ আইনে প্রথম আটক যুবতীকে গর্ভপাত করানোর অভিযোগ, উত্তেজনা উত্তরপ্রদেশে]

এরপরও বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল পাত্রের পরিবার। সমস্ত কিছু ভুলে রবিবার ছিমছামভাবে শুধু পরিবারের উপস্থিতিতে বিয়ে সারার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু কনে আর এমন পুরুষের সঙ্গে জীবন কাটাতে ইচ্ছুক নন। তাঁর মতে, এমন ছেলের সঙ্গে থাকা মানে সারাজীবনের অভিশাপ সঙ্গে করে বয়ে বেড়ানো। তার চেয়ে একা থাকাই ভাল বলে মনে করছেন কনৌজ জেলার কন্যা। মেয়ের কথাই মেনে চলা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন কনের বাবা।

[আরও পড়ুন: প্রতিষ্ঠান খুলতেই হু হু করে বাড়ল করোনা সংক্রমণ, এক সপ্তাহের মধ্যে ফের বন্ধ IIT-মাদ্রাজ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement