সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একাধারে তিনি যেমন কারও সন্তান আবার তেমনই তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তাই তিনি যা করবেন, তা দেখেই এগোবেন রাজ্যের মানুষ। লকডাউনের নিয়মবিধি তিনি না মানলে, কেন মানবেন রাজ্যবাসী? এসব হাজারও চিন্তাভাবনার পর নিজের দায়িত্বের কথা মাথায় রেখে লকডাউনের আবহে বাবার শেষকৃত্যে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। যাতে খুব কম সংখ্যক মানুষ তাঁর বাবার শেষকৃত্যে ভিড় জমান, সেই নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। সোমবার সকালেই এইমসে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তাঁর বাবা।
যোগী আদিত্যনাথেক বাবা আনন্দ সিং বিস্তের বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। বনাধিকারিক হিসাবেই কাজ করতেন তিনি। গত ১৩ মার্চ থেকে নানারকম শারীরিক অসুস্থতা দেখা যায় তাঁর। তাঁকে ভরতি করা হয় দিল্লির এইমস হাসপাতালে। সেখানে আইসিইউতে ভরতি ছিলেন তিনি। ওই হাসপাতালের এক চিকিৎসক বলেন, “তাঁরা নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা ছিল। কিডনি এবং লিভারও প্রায় কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল। লিভারে সংক্রমণও ছিল তাঁর। ডায়ালিসিসও করা হচ্ছিল তাঁর। পাশাপাশি তাঁর রক্তচাপও ছিল অত্যন্ত কম।”
[আরও পড়ুন: এলাকায় করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা, প্রতিবেশীদের মারে হাত ভাঙল চিকিৎসকের]
সোমবার সকালে প্রায় অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কাজ করা বন্ধ হয়ে যায় তাঁর। মাল্টি অরগ্যান ফেলিওর হয়ে জীবনযুদ্ধ শেষ করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর বাবা। এদিন সকালে হাসপাতালের তরফে জানানো হয় তাঁর মৃত্যু সংবাদ। মঙ্গলবারই শেষকৃত্য হবে তাঁর। লকডাউনের জন্য শেষকৃত্যে যোগ দেবেন না বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যোগী। বিধি মেনে খুবই কম সংখ্যক লোকজন নিয়ে শেষকৃত্য সারার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।
রবিবার সন্ধেয় যোগীর সঙ্গে কথা হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। তাঁর বাবার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন মোদি। হাসপাতালে যান অমিত শাহ এবং জেপি নাড্ডা। বাবার মৃত্যু সংবাদ পাওয়া মাত্রই সোমবার যোগীকে সমবেদনা জানান রাজনৈতিক মহলের প্রায় সকলেই। উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং, কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এবং মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ শোকজ্ঞাপন করে সমবেদনা জানান।
The post দায়িত্বে অবিচল, লকডাউনে বাবার শেষকৃত্যে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত যোগীর appeared first on Sangbad Pratidin.