নন্দিতা রায়: যোগী আদিত্যনাথের পর এবার অখিলেশ যাদব (Akhilesh Yadav)। শেষ মুহূর্তে মত বদলে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে লড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো তথা দলের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী। সেই সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে পুরোপুরি নয়া ট্রেন্ডের সূচনা হয়ে গেল।
শেষবার ২০০৪ বিধানসভা নির্বাচনে ভোটে লড়েছিলেন সমাজবাদী পার্টির (Samajwadi Party) মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী মুলায়ম সিং যাদব। তারপর আর কোনও দলের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীরা ভোটে লড়েন না। তাঁরা গোটা রাজ্যে ঘুরে ঘুরে প্রচারে ফোকাস করাটাকেই বুদ্ধিমানের কাজ বলে মনে করেন। মুলায়ম লড়েছিলেন সেই একবারই, মায়াবতী (Mayawati) কোনও কালেই লড়েননি বিধানসভা ভোটে। ২০১২ সালে অখিলেশ যাদব যখন প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী হলেন, তখনও তিনি বিধানসভা নির্বাচনে লড়েননি। সেসময় কনৌজের সাংসদ ছিলেন তিনি। পরে উত্তরপ্রদেশের বিধান পরিষদের সদস্য হন অখিলেশ। আবার ২০১৭ সালে যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সময় তিনিও ছিলেন গোরক্ষপুরের সাংসদ। পরে তিনিও বিধান পরিষদের সদস্য হন।
[আরও পড়ুন: ভোটের আগে হঠাৎই করোনা গ্রাফ নিম্নমুখী যোগীরাজ্যে! টিকাকরণ নাকি অন্য ‘জাদু’, উঠছে প্রশ্ন]
কিন্তু এবারে সেই ট্রেন্ড বদলেছেন যোগী নিজেই। দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার বার্তা দিতে যোগী আদিত্যনাথ গোরক্ষপুর সদর আসন থেকে ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যোগীর সিদ্ধান্তে কিছুটা হলেও চাপ বেড়েছে অখিলেশের উপর। শুরুতে ভোটে লড়তে রাজি না হলেও শেষমেশ তিনি রাজি হয়েছেন বলে দলীয় সূত্রের খবর। শোনা যাচ্ছে, নিজেদের ঘরের মাঠ কনৌজেরই কোনও আসন থেকে লড়তে পারেন অখিলেশ। আবার, লখনউ সেন্ট্রালের মতো কোনও কঠিন কিন্তু হাই প্রোফাইল আসন থেকে তাঁর লড়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। সপা সূত্রের খবর, প্রয়োজনে অখিলেশকে দুটি আসন থেকে দাঁড় করাতে পারে দল।
[আরও পড়ুন: দু’দিন বাদে ফের ঊর্ধ্বমুখী দেশের করোনা গ্রাফ, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত প্রায় ২ লক্ষ ৮৩ হাজার]
এদিকে, বুধবারই উত্তরপ্রদেশের দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে বিজেপি (BJP)। ইতিমধ্যেই দলের দিল্লি সদর দপ্তরে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির শেষ মুহূর্তের বৈঠক শুরু হয়ে গিয়েছে। ভারচুয়ালি সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ গত তিনদিন ধরেই অবশ্য দিল্লিতে পড়ে আছেন। একের পর এক দলত্যাগের ধাক্কা সামলাতে বিজেপি প্রার্থী তালিকায় কোনও কাউন্টার স্ট্র্যাটেজি নেয় কিনা সেটাই এখন দেখার।