সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘হাথরাসের (Hathras Rape) তরুণীর ধর্ষণই হয়নি। স্রেফ রাজ্য সরকারে বদনাম করতে ও হিংসা ছড়াতেই ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল।’ সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে এমনটাই জানাল উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের সরকার (UP Government)। সিবিআই নয়. বিচারবিভাগীয় তদন্ত চেয়ে শীর্ষ আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি শেষে নির্যাতিতার পরিবার ও এই ঘটনার সাক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে নির্দেশ দেন বিচারপতিরা। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী সপ্তাহে।
১৪ সেপ্টম্বর হাথরাসের গ্রামে এক দলিত তরুণীকে ধর্ষণ করে চারজন। দু’সপ্তাহ লড়াইয়ের পর মৃত্যু হয় তাঁর। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিরুদ্ধে জোর করে দেহ দাহ করার অভিযোগ ওঠে। আদালতে জমা করা হলফনামায় সেই অভিযোগ খারিজ করে যোগী সরকারের দাবি, অশান্তি এড়াতেই এই পদক্ষেপ করে পুলিশ। হলফনামায় বলা হয়েছে, গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছিল সকালে শেষকৃত্য করলে কয়েক হাজার মানুষ জড়ো হত। অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করত। আইনশৃঙ্খলার কথা মাথায় রেখেই এই পদক্ষেপ। এ প্রসঙ্গে সফদরজং হাসপাতালের সামনের ধরনারও উল্লেখ করেন। যোগী সরকারের দাবি, রাজ্য সরকারের বদনাম করতেই এই ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। হাথরাসের তরুণীর ধর্ষণই হয়নি তা প্রমাণ করতে উত্তরপ্রদেশে প্রশাসন জেজে হাসপাতাল ও ফরেনসিক রিপোর্টকে হাতিয়ার করেছে, যে রিপোর্টে বলা হয়েছিল, মেয়েটির ধর্ষণ হয়নি। তাঁর দেহে পেনিট্রেশনের চিহ্ন বা বীর্যের উপস্থিতি মেলেনি।
[আরও পড়ুন : রাজ্যের উন্নয়ন সহ্য হচ্ছে না! হাথরাস কাণ্ডে বিরোধীদের ষড়যন্ত্র দেখছেন যোগী]
এদিনও আদালতে হাথরাসের ঘটনার সিবিআই তদন্তের পক্ষে সওয়াল করে উত্তরপ্রদেশ সরকার। তাঁদের তরফে বলা হয়, কায়েমি স্বার্থ নিরপেক্ষ তদন্তের গতিপ্রকৃতিকে বাধা দিতে পারে। যদিও মামলাকারী ও বিরোধীরা সিবিআই নয়, বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছে। মামলাকারীদের দাবি, উত্তরপ্রদেশের বদলে দিল্লির আদালতে মামলার শুনানি হোক। এ বিষয় এদিন কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি শীর্ষ আদালত। বরং হাথরাসের নির্য়াতিতার পরিবার, সাক্ষীদের নিরাপত্তার উপযুক্ত ব্যবস্থা করতে যোগী সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে। কীভাবে তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে, তা আগামী সপ্তাহে কেন্দ্রের সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতাকে আদালতে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।