সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আম খেতে চেয়েছিল ভাইঝি। কাকার কাছে বারবার বায়না করছিল ৫ বছরের শিশুটি। সেই আবদারই কাল হল তার। ৫ বছরের শিশুকে খুন করল উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) ৩৩ বছর বয়সি এক ব্যক্তি। খুনের পর দেহ লোপাটের জন্য বস্তায় ভরে দেহ বাড়িতে ফেলে রেখেছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।
শিশুটির নাম খইরু নিশা (৫)। উত্তরপ্রদেশের খেদা কুরদান গ্রামের বাসিন্দা। নিশার বাবা পেশায় ঠিকা শ্রমিক। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার দুপুরে খেতে বসে আম খাওয়ার বায়না ধরেছিল নিশা। কাকা উমরদ্দিনের কাছে বারবার বায়না করছিল। আর তাতেই বিরক্ত হয় অভিযুক্ত। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে লোহার রড নিয়ে নিশার মাথায় আঘাত করে সে। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে ধারাল অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে শিশুটিকে হত্যা করা হয়। অভিযুক্ত দেহ লোপাটেরও চেষ্টা করে বলেও অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: কেন গ্রেপ্তার হলেন পার্থ? কী এই এসএসসি দুর্নীতি? জেনে নিন]
দুপুর থেকে মেয়ের হদিশ না পেয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে পরিবার। পুলিশের দ্বারস্থ হয় নিশার বাবা। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয় তদন্ত। প্রাথমিক খোঁজখবর নেওয়ার পরই পুলিশের সন্দেহ গিয়ে পড়ে অভিযুক্ত উমরদ্দিনের উপর। বিষয়টি বুঝতে পেরেই গাঢাকা দেয় সে। এদিকে উমরউদ্দিনের বাড়িতে তল্লাশি চালাতেই বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার হয়। খোঁজ শুরু হয় উমরের।
কান্ধলার এসএইচও শ্যামবীর সিং জানান, পরিবারের গ্রামের বিভিন্ন প্রান্তে মেয়ের খোঁজ করছিলেন। অভিযুক্তও গ্রামবাসীর সঙ্গে নিশার খোঁজ শুরু করে। পরে পুলিশের সন্দেহ তার দিকে যেতেই চম্পট দেয়ে উমরদ্দিন। দু’দিন পর বৃহস্পতিবার রাতে অভিযুক্তকে এখটি জঙ্গলে ঘেরা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার কাছ থেকে খুনের হাতিয়ার লোহার রড, ধারাল অস্ত্র উদ্ধার হয়। শুক্রবার অভিযুক্তকে জেলে পাঠানো হয়।