সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা ভাইরাসের থাবায় মহামারির আকার ধারণ করেছে চিনে। মারণ ভাইরাসের আতঙ্কে কাঁপছে ভারতও। ভাইরাসকে রুখতে নেওয়া হচ্ছে নানা পদক্ষেপ। তবে তা সত্ত্বেও আতঙ্ক যেন পিছু ছাড়ছে না। চিন ফেরত ভারতীয়দের নিয়ে দুশ্চিন্তায় তাঁদের পরিজনেরা। দিল্লি, বিহার, রাজস্থানের পর এবার চিন ফেরত উত্তরপ্রদেশের যুবককে নিয়ে উদ্বিগ্ন যোগীরাজ্য। তাঁর শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।
চিনের হুবেই বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন উত্তরপ্রদেশের মহারাজগঞ্জের ওই যুবক। দিনকয়েক আগে চিন থেকে উত্তরপ্রদেশে ফেরেন তিনি। তাঁর পরিজনদের দাবি, চিন থেকে ফেরার পরই জ্বর-সর্দি-কাশিতে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। শনিবার রাতে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে ওঠে। তাই তড়িঘড়ি ওই যুবককে মহারাজগঞ্জের জেলা হাসপাতালে ভরতি করা হয়। ওই হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা চলছে তাঁর। অসুস্থ ওই যুবকের শারীরিক নমুনা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পুণের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ভাইরোলজিতে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত ওই যুবক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কি না, তা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয় বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
[আরও পড়ুন: মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ফের সুপ্রিম কোর্টে নির্ভয়ার ধর্ষক]
এর আগে বিহারের ছাপড়ার বছর উনত্রিশের এক তরুণী চিনে গবেষণা করে নিজের বাড়িতে ফেরেন। ২২ জানুয়ারি কলকাতায় ফেরার পরই সর্দি, কাশি, জ্বরের উপসর্গ দেখা দিয়েছিল তাঁর। তাঁকে প্রথমে সরন সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকেই পাটনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় ওই গবেষককে। তাঁর রক্তের নমুনা পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে পাঠানো হয়েছে। তবে এখনও রিপোর্ট হাতে আসেনি। রাজস্থানের জয়পুরের এক ব্যক্তিও চিন থেকে ফেরার পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে তিনিও ভরতি হাসপাতালে। আবার করোনা সংক্রমণের মতো উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভরতি দিল্লির তিনজন। দিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে ভরতি তিনজনের উপসর্গ দেখে চিকিৎসকরা মনে করছেন, করোনা থাবা বসাতে পারে তাঁদের শরীরে। প্রত্যেকেরই নমুনা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পুণের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ভাইরোলজিতে পাঠানো হয়েছে। তবে অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার বার্তা দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
The post বিহার-রাজস্থান-দিল্লির পর উত্তরপ্রদেশেও করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা, হাসপাতালে ভরতি ১ appeared first on Sangbad Pratidin.