সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথমে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ধর্ষণ। পরে ধর্ষণের (Rape) ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল। লাগাতার শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার (Suicide) মর্মান্তিক পথ বেছে নিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) এক মহিলা পুলিশ সাব ইন্সপেক্টর (Sub-inspector)। অবশেষে এই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্ত পুলিশ অ্যাকাডেমির ইনস্ট্রাক্টরকে। সেই সঙ্গে পুলিশের বিরুদ্ধেও অভিযোগ, অভিযুক্তকে প্রথমে গ্রেপ্তার করতে অস্বীকার করা হয়েছিল পুলিশের তরফে।
ঠিক কী ঘটেছিল? অভিযুক্তর সঙ্গে মোরাদাবাদের বাসিন্দা ওই সাব ইন্সপেক্টর তরুণীর দীর্ঘ সাত বছরের সম্পর্ক। তবে সম্প্রতি অভিযুক্ত জানতে পারে ওই তরুণী অন্য কাউকে বিয়ে করতে চলেছেন। সে বারবার তরুণীকে বিয়ে ভেঙে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। কিন্তু তরুণী তাতে রাজি না হওয়ায় তরুণীর ভাইয়ের অভিযোগ, তাঁকে ফাঁদে ফেলতে এরপরই ফন্দি আঁটে অভিযুক্ত ইনস্ট্রাক্টর। তার নিমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ওই তরুণী অভিযুক্তর বাড়িতে এলে চায়ের সঙ্গে ওষুধ মিশিয়ে তাঁকে বেহুঁশ করে দেওয়া হয়। তারপরই তাঁকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত। সেই সঙ্গে তুলে রাখে কুকর্মের ভিডিও। এরপর থেকেই শুরু হয় ব্ল্যাকমেল করা। শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতিত হতে থাকেন ওই তরুণী। শেষ পর্যন্ত গত ১ জানুয়ারি তিনি আত্মহত্যা করেন।
[আরও পড়ুন : শত্রু শিবিরে অগ্নিবর্ষণ করবে ‘আকাশ’, চিনকে নজরে রেখে ফের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ভারতের]
মৃতা তরুণীর ভাইয়ের অভিযোগ সত্ত্বেও পুলিশ প্রথমে গ্রেপ্তার করতে চায়নি অভিযুক্তকে। যেহেতু অভিযুক্তের সঙ্গে নিহত সাব ইন্সপেক্টরের সম্পর্ক ছিল, তাই এই পদক্ষেপ করতে ইচ্ছুক ছিল না তারা। পুলিশের দাবি, দু’জনের মধ্যে প্রায় সাত বছরের সম্পর্ক ছিল। তাদের বিয়েও হওয়ার কথা ছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত তদন্তে নামে পুলিশ। কল ডিটেলস ঘেঁটে দেখা যায়, প্রতিদিন প্রায় ২৫ বার কথা হত নির্যাতিতা তরুণী ও অভিযুক্তর মধ্যে। অবশেষে এবার পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে অভিযুক্তকে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে।
ন্যাশনাল ক্রাইমস রেকর্ড ব্যুরোর হিসেব বলছে, নারী নির্যাতনে দেশের শীর্ষে যোগী আদিত্যনাথের উত্তরপ্রদেশ। ২০১৬ সালের পর থেকে রাজ্যে এই ধরনের অপরাধের ঘটনা বেড়েছে ২০ শতাংশ। বারবার সেই রাজ্যে মেয়েদের উপরে নানা নিপীড়নের ছবি সামনে এসেছে। কিন্তু তাতেও শিক্ষা হয়নি প্রশাসনের। এবার খোদ পুলিশ সাব ইন্সপেক্টরই শিকার হলেন নিপীড়নের।