সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোটা রাজ্যকেই সম্ভবত গেরুয়ায় রাঙাতে চাইছেন যোগী আদিত্যনাথ। সূচাগ্র মেদিনী ছাড়তেও তিনি নারাজ। বিল্ডিং, পার্ক, ডিভাইডারের পর এবার যোগীর নজর পড়েছে টোল প্লাজায়। সেগুলিও গেরুয়াকরণের কাজ শুরু করে দিয়েছেন। রবিবার মুজফ্ফরপুর-সাহারানপুর হাইওয়ের টোল প্লাজায় গেরুয়া রং করা হয়।
[ সহ্যের সীমা ছাড়িয়েছে! কাশ্মীরে ফের জঙ্গি নিকেশে নামছে সেনা ]
উত্তরপ্রদেশের মসনদে যোগী আদিত্যনাথ আসার পর থেকেই রাজ্যের গেরুয়াকরণের কাজ শুরু হয়। এখন তো প্রায় উত্তরপ্রদেশ ও গেরুয়া একে অপরের পরিপূরক। উত্তরপ্রদেশ মানেই গেরুয়া রাজ্য। আর তার পিছনে কারিগর আদিত্যনাথ। মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নেওয়ার পর তিনি সরকারf বিল্ডিংগুলির রং গেরুয়া করার নির্দেশ দেন। আগে প্রশাসনিক ভবনগুলির রং ছিল সাদা এবং হালকা হলুদ। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছে মতো কাজ হয়ে যায়। কিন্তু তাতেই সন্তুষ্ট হননি যোগী। লউনউয়ে হজ হাউসের বাইরের দেওয়াল গেরুয়া রঙ করা হয়। সমাজবাদী পার্টি, বিএসপি নিয়ে এই নিয়ে হইহই করলেও আমল দেয়নি প্রশাসন। তবে তার আগে গত সেপ্টেম্বরে সরকারি বাসের রংও গেরুয়া করা হয়েছিল। যোগীর দর্শনে হেঁটে উত্তরপ্রদেশের বিদ্যুৎ দপ্তর রাজ্যের সমস্ত বিদ্যুতের খুঁটিতে এই রং ব্যবহার করতে শুরু করে। তথ্যসংস্কৃতি দপ্তরের যাবতীয় পুস্তিকার রঙও গেরুয়া করা হয়। সরাসরি এর প্রতিবাদ অবশ্য কেউ করেনি। কিন্তু কটূক্তি কিছু কম পাননি যোগী।
[ স্কুলের পাঠক্রমে গোরক্ষপুর মঠের সাধু-সন্তরা, যোগী সরকারের সিদ্ধান্তে বিতর্ক ]
সমালোচনা ওঠায় বেশ কিছুদিন গৈরিকীকরণ বন্ধ রেখেছিল লখনউ প্রশাসন। কিন্তু ভাবনা থামেনি। লখনউয়ের গোমতী নগর পুরসভা এলাকার প্রায় সব কটি পার্কের পাঁচিল গেরুয়া রঙে করা হয়। গেরুয়ার পোঁচ পড়ে ডিভাইডারগুলিতেও। শুধু তাই নয়, গোমতী নগর থানার রংও করা হয় গেরুয়া। দুগরাইয়া গ্রামের আম্বেদকরের মূর্তিতেও গেরুয়া রংকরা হয়। তবে প্রথমে সেই মূর্তিটি ভেঙে ফেলা হয়। মূর্তির গায়ে ছিল নীল কুর্তা। তারপর সেই জায়গাতেই আরেকটি মূর্তি তৈরি করে তাতে গেরুয়া রং করা হয়।