সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিন তিনেকের টানটান লড়াইয়ের পর অবশেষে হোয়াইট হাউস দখল করলেন জো বিডেন (Joe Biden)। আর সঙ্গে সঙ্গেই বয়ে গেল অভিনন্দনের বন্যা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত জো বিডেনকে অভিনন্দন জানালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (Narendra Modi)। ‘বন্ধু’ ট্রাম্প পরাজিত হলেও, ‘ভারতবন্ধু’ বিডেনের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার বার্তা দিলেন নমো।
[আরও পড়ুন: হোয়াইট হাউসে ‘ওল্ড জো’, মার্কিন গদি বদলে খুব কি লাভবান হবে ভারত?]
রবিবার একটি টুইট করে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “অভিনন্দন জো বিডেন। ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ভারত-আমেরিকা সম্পর্ক মজবুত করতে আপনার অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে আমি আপনার সঙ্গে কাজ করতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।” একইসঙ্গে ভাইস প্রেসিডেন্ট হতে চলা ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিসকেও অভিনন্দন জানান মোদি। টুইটারে তিনি লেখেন, “ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিনিদের জন্য আপনার সফলতা অত্যন্ত গর্বের। আপনার নেতৃত্ব ও সমর্থনে ভারত-আমেরিকা সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।” বলে রাখা ভাল, কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদ করা নিয়ে নয়াদিল্লিকে তুলোধোনা করেছিলেন কমলা। তবে কূটনীতির আঙিনায় দাঁড়িয়ে বিরোধী কমলা ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলার মধ্যে পার্থক্য যে থাকবে তা বলাই বাহুল্য। বিডেনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও।
উল্লেখ্য, বারাক ওবামার প্রশাসনে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে বসার আগেও ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করায় জোর দিয়েছিলেন বিডেন। পরে ওবামার সঙ্গে জোট বেঁধে নয়াদিল্লি-ওয়াশিংটন সম্পর্ক নয়া উচ্চতায় নিয়ে যান তিনি। এমনকী, ২০০৬ সালে ভাইস প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগেই ভারত-আমেরিকা নিয়ে নিজের ‘ভিশন’ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। সেবার বিডেন বলেছিলেন, “২০২০ সালে ভারত ও আমেরিকা অত্যন্ত কাছাকাছি চলে আসবে। এটাই আমার স্বপ্ন।” ভারত-আমেরিকা অসামরিক আণবিক চুক্তি নিয়ে শুরুতে কিছুটা আপত্তি করেছিলেন ওবামা। কিন্তু চুক্তির সমর্থনে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে ২০০৮ সালে ওই ঐতিহাসিক চুক্তি করান তিনি। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের সদস্যপদের সমর্থনে বারবার সওয়াল করেছেন বিডেন। ওবামা ও বিডেন জুটির আমলেই ভারতকে ‘Major Defense Partner’ তকমা দেয় আমেরিকা। সব মিলিয়ে আগামী দিনে ওয়াশিংটন-নয়াদিল্লি সম্পর্ক আরও মজবুত হবে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
দেখুন ভিডিও: