shono
Advertisement

নাকেই তৈরি হবে করোনার অ্যান্টিবডি! নয়া ন্যাসাল ভ্যাকসিনের দাবি মার্কিন বিজ্ঞানীদের

দাবি, ছ’মাস পর্যন্ত সার্স-কোভ-২ থেকে সুরক্ষা দেবে এই ভ্যাকসিন।
Posted: 11:01 AM Dec 06, 2020Updated: 11:01 AM Dec 06, 2020

গৌতম ব্রহ্ম: স্রেফ এক ঝলক স্প্রে। নাকের দুই ফুটোয়। তাতেই তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডি (Antibody) শরীরে করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জবরদস্ত প্রতিরোধের দেওয়াল তুলবে। মার্কিন মুলুকের এক দল বিজ্ঞানীর দাবি, তাঁরা এমনই এক থেরাপিউটিক ভ্যাকসিন তৈরি করে ফেলেছেন। যা ছ’মাস পর্যন্ত সার্স-কোভ-২ থেকে সুরক্ষা দেবে। গবেষণার অ্যানিম্যাল ট্রায়াল শেষ, সেখানে আশাতীত সাফল্য মিলেছে।

Advertisement

এবার আমেরিকার ‘ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) অনুমতি দিলেই শুরু হবে হিউম্যান ট্রায়াল। আমেরিকার ‘ইউনিভার্সিটি অফ পেনসিলভেনিয়া’ এবং জিন থেরাপি নিয়ে কাজ করা সংস্থা ‘রিজেনেরন’— এদের যৌথ উদ্যোগেই এই ‘থেরাপিউটিক ভ্যাকসিন’ তৈরি হবে। গবেষক দলের প্রধান জেমস উইলসন নিজে এখন স্বনামধন্য জিন গবেষক। স্পাইনাল মাসকিউলার অ্যাট্রপি-সহ বেশ কিছু জিনঘটিত রোগ নিয়ে কাজ করছেন উইলসন ও তাঁর টিম।

[আরও পড়ুন: কোভিড রোধে আশার আলো? ব্রিটেনে ছাড়পত্র পেল ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা]

করোনা প্রতিরোধে এই জিন প্রযুক্তিকেই কাজে লাগানোর জন্য ফেব্রুয়ারিতে উইলসনকে অনুরোধ জানায় মার্কিন সরকার। গবেষকদের দাবি, অ্যাডেনো ভাইরাসের খোলে করোনার স্পাইক প্রোটিন ভরে এই স্প্রে তৈরি করা হয়েছে। যাতে প্রযুক্ত অ্যান্টিজেন ন্যাসাল মিউকোসায় মজুত মাইক্রোফোল্ড কোষের সহায়তায় লিম্ফোয়েড টিস্যুতে ঢুকে পড়বে ও ডেনড্রায়েটিক সেল এবং ম্যাক্রাফাজকে উদ্দীপ্ত করবে। তৈরি করবে আইজিএ অ্যান্টিবডি। এই অ্যান্টিবডিই নাকের ভিতর পাহারাদারের কাজ করবে। সার্স-কোভ-২ ঢুকতে গেলে বাধা দেবে।

সম্প্রতি এই নিয়ে একটি গবেষণাপত্র বায়ো মেডিক্যাল আর্কাইভে প্রকাশিত হয়। তা উদ্ধৃত করে ভাইরোলজিস্ট ও ইমিউনোলজিস্ট ডা. সিদ্ধার্থ জোয়ারদার জানিয়েছেন, নাকে মজুত শ্লেষ্মায় টি লিম্ফোসাইট সেল, ডেনড্রায়েটিক সেল, বি লিম্ফোসাইট সেল, ন্যাচারাল কিলার সেল রয়েছে। স্প্রে নাকে গেলে যা স্থানীয়ভাবে রোগ প্রতিরোধ তৈরি করবে। সিদ্ধার্থবাবুর পর্যবেক্ষণ, সাধারণ ভ্যাকসিনের থেকে এই থেরাপিউটিক ন্যাসাল ভ্যাকসিনের বেশ কিছু সুবিধা আছে। এক, এটি খুব সহজে প্রয়োগ করা যায়। স্থানীয়ভাবে অ্যান্টিবডি তৈরি করে বলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি নেই বললেই চলে। আসলে সাধারণ ভ্যাকসিন মানুষের সামগ্রিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে। তাতেই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। কিন্তু, ন্যাসাল স্প্রে ভ্যাকসিন শুধু নাকে মজুত লিম্ফোয়েড টিস্যুকেই ‘ইমিউনড’ করে।

[আরও পড়ুন: সেনাদের অভিনব সম্মান জানিয়ে যাত্রা শুরু করছে FAU-G, চালু প্রি-রেজিস্ট্রেশন]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement