অভিষেক চৌধুরী, কালনা: হেডফোনে বুঁদ হয়ে থাকায় মর্মান্তিক পরিণতি। রেললাইন পেরনোর সময় ট্রেনের ধাক্কায় (Rail Accident) প্রাণ গেল এক ছাত্রীর। দুর্ঘটনার পর কালনা জিআরপি (GRP) ওই ছাত্রীর দেহ উদ্ধার করে কালনা (Kalna) হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। বৃহস্পতিবার এই হাসপাতালের মর্গে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মেয়েকে হারিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবার। এলাকায়ও শোকের ছায়া।
জানা গিয়েছে, মৃতার নাম সুচরিতা ঢক, বয়স ১৮ বছর। তার বাড়ি কালনা থানার বালিয়া এলাকায়। কালনার একটি স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া সুচরিতা। দিন কয়েক আগে কালনার কাছে হুগলির (Hooghly) সোমরা বাজার মুড়াগড় এলাকায় দিদির বাড়ি গিয়েছিল সে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার বিকালের দিকে সেখান থেকে বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে সে হুগলির সোমরা বাজার স্টেশনের দিকে যাচ্ছিল। কানে ছিল হেডফোন (Headfone)।
[আরও পড়ুন: মমতাকে নিয়ে ‘ঘৃণা ভাষণ’ শুভেন্দুর, ‘বিচারপতি মান্থা কি দেখতে পাচ্ছেন না?’, প্রশ্ন কুণালের]
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কানে হেডফোন গুঁজেই রেললাইন পেরচ্ছিল সুচরিতা। সেই সময় ট্রেন চলে এলেও তার শব্দ বা ট্রেনের হুইসল কিছু শুনতে পায়নি। ট্রেনটিও গতিবেগ সামলাতে পারেনি। সজোরে ধাক্কা দিলে সুচরিতার মৃত্যু হয়। স্বাভাবিক কারণে এই ঘটনার পর চাঞ্চল্য ছড়ায় ওই এলাকায়। মৃতার কাকা বিপুল ঢক জানান, “ভাইঝি মুলাগড়ে ওর দিদির বাড়ি গিয়েছিল। সেখান থেকে বাড়ি ফিরবে বলে ভাইঝি সোমড়া বাজার স্টেশনের দিকে ট্রেন ধরার জন্য যাচ্ছিল ওইদিন বিকালের দিকে। কানে হেডফোন গুঁজে রেললাইন পারাপারের সময় দুর্ঘটনা ঘটেছে বলেই আমাদের অনুমান।”
[আরও পড়ুন: ‘বিবেকানন্দের নবরূপ আজকের নরেন্দ্র মোদি’, বিতর্কিত মন্তব্য সৌমিত্র খাঁ’র, জবাব তৃণমূলের]
এ ধরনের দুর্ঘটনা নতুন নয়। যুব প্রজন্মের অনেকেই এভাবে হেডফোনে বুঁদ থেকে রাস্তাঘাটে চলাফেরা করে। তাই বিপদও ঘনিয়ে আসে। সুচরিতার মৃত্যুও একই কারণে। কবে ফিরবে এদের হুঁশ? আরও কত মৃত্যুর পর? এই প্রশ্ন বারবার উচ্চারিত হয়, তবে উত্তর নেই।