সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্ত্রীকে খুনের পর আঁটঘাট বেধে বাড়ি থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে দেহ পুঁতে দিয়েছিলেন। এমনকী নিজের উপর থেকে সন্দেহ হটাতে স্থানীয় থানায় গিয়ে নিখোঁজ ডায়েরিও করে আসনে। যদিও এত করেও লাভ হল না। খুনের দায়ে ধরা পড়লেন উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) লখিমুপর খেরির বাসিন্দা এক চিকিৎসক। ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত চিকিৎসকের নাম অভিষেক অবস্থি। অভিযোগ, গত ২৬ নভেম্বর স্ত্রী বন্দনাকে (২৮) খুন করেন তিনি। বন্দনাও পেশায় আয়ুর্বেদ চিকিৎসক ছিলেন। ২০১৪ সালে চিকিৎসক অভিষেকের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। এরপর স্বামী-স্ত্রী মিলে সীতাপুর রোডে গৌরী চিকিৎসালয় নামে একটি হাসপাতালও খুলে ছিলেন। কিন্তু বিয়ের কয়েক বছর পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে আশান্তি শুরু হয়ে যায়। ঝামেলা তীব্র হলে বন্দনা অন্য একটি হাসপাতালে চাকরি নেন।
[আরও পড়ুন: কাশ্মীরের নিরাপত্তায় বিপুল খরচ, কত হাজার কোটি ব্যয়? কমল নাশকতা? জানাল কেন্দ্র]
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার দিন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি হয়েছিল। সেই সময় চিকিৎসক এবং তাঁর বাবা গৌরীশঙ্কর অবস্থি ভারী কোনও বস্তু দিয়ে বন্দনার মাথায় আঘাত করেছিলেন। তাতেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এরপর দেহ লোপাট করতে ৪০০ কিলোমিটার দূরে গড়মুক্তেশ্বরে বন্দনার দেহ পুঁতে দিয়ে আসেন অভিষেক। লখিমপুর খেরির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অরুণ কুমার সিংহ জানান, স্ত্রীর মৃতদেহ স্যুটকেসে ভরে প্রথমে নিজের ক্লিনিকে যান অভিষেক। এরপর একটি অ্যাম্বুলেন্স ডেকে গড়মুক্তেশ্বরে চলে যান। অ্যাম্বুলেন্স চালককে বলেন, দুর্ঘটনার মৃত্যু হয়েছে বন্দনার।
[আরও পড়ুন: গ্র্যাজুয়েশনের সময়সীমা নিয়ে বড় ঘোষণা, কী বলছে UGC?]
পুলিশকর্তা জানিয়েছেন, খুনের ঘটনার পরদিন থানায় আসেন অভিষেক। স্ত্রীর নামে নিখোঁজ ডায়েরি করেন। অভিযোগে জানিয়েছিলেন, বাড়ি থেকে মূল্যবান জিনিস নিয়ে স্ত্রী পালিয়েছেন। যদিও অভিষেক-বন্দনার দাম্পত্য সম্পর্কের খোঁজ নেওয়ার পরে উলটে চিকিৎসকের উপরে সন্দেহ পড়ে পুলিশের। সেই মতো তাঁর উপর নজর রাখা হচ্ছিল। এরপর রুটিন পুলিশি জেরায় ভেঙে পড়ে চিকিৎসক অভিষেক অবস্থি। অভিযুক্তের বয়ন অনুযায়ী ৪০০ কিলোমিটার দূরের গড়মুক্তেশ্বরে মাটির নিচ থেকে বন্দনার দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে চিকিৎসককে।