সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সহকর্মীকে শ্লীলতাহানির (Molestation) অভিযোগ উঠল উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) এক সরকারি অফিসারের বিরুদ্ধে। যৌন নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হতেই লখনউ থেকে গ্রেপ্তার করা হল অভিযুক্তকে। জানা গিয়েছে, গত ২৯ অক্টোবর অভিযুক্ত ইচ্ছারাম যাদবের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হলেও বুধবার পর্যন্ত তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নির্যাতিতার শেয়ার করা ভিডিওর সূত্রেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁকে।
কী জানিয়েছেন নির্যাতিতা? দায়ের করা এফআইআরে তিনি জানিয়েছেন, ২০১৩ সাল থেকে তিনি রাজ্যের সংখ্যালঘু উন্নয়ন দপ্তরে কর্মরত। ওই দপ্তরের ইন-চার্জের দায়িত্বে ছিলেন অভিযুক্ত ইচ্ছারাম। ওই বিভাগের সদর দপ্তর লখনউয়ের বাপু ভবনের চারতলায় একসঙ্গে চাকরি করতেন দু’জনে। অভিযোগ, ২০১৮ সাল থেকেই তিনি শ্লীলতাহানি করা শুরু করেন মহিলাকে। মাসখানেক আগে শৌচাগারে গিয়ে মজা করার কুপ্রস্তাবও দিয়েছিলেন তিনি। এমনকী, তাঁর প্রস্তাবে সাড়া না দিলে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার হুমকিও দেওয়া হয় নির্যাতিতাকে।
[আরও পড়ুন: এই না হলে ভাগ্য! স্বামীর দোকান থেকে লটারি কিনে রাতারাতি কোটিপতি মালবাজারের বধূ]
একটি নয়, অনেকগুলি ভিডিওই ছড়িয়ে পড়েছে। কী দেখা গিয়েছে ভাইরাল হওয়া ভিডিওগুলিতে? সেখানে দেখা যাচ্ছে অভিযুক্ত ইচ্ছারাম একটানা অশ্লীল আচরণ করে চলেছেন ওই মহিলার সঙ্গে। তিনি তাঁকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করছেন। একটিতে অভিযুক্তকে জোর করে তাঁর সহকর্মীকে চুমু খাওয়ার চেষ্টা করতেও দেখা গিয়েছে।
ইচ্ছারামকে গ্রেপ্তার করেছে উত্তরপ্রদেশের পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪, ৫০৬ ও ২৯৪ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তবে সেই সঙ্গে প্রশ্ন উঠছে, কেন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে এতটা সময় লাগল। যেখানে অপরাধের ভিডিওতে পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে ঠিক কী হয়েছিল নির্যাতিতার সঙ্গে এবং তিনি বেশ কয়েক দিন আগে এফআইআরও দায়ের করে দিয়েছিলেন তারপরেও কেন এত দেরি করল যোগীরাজ্যের পুলিশ?