সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশে লক আপের মধ্যে ২০ বছরের এক যুবকের উপর নৃশংস অত্যাচারের অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। গরু চুরির অভিযোগে ধৃত ওই যুবককে বেধড়ক পিটিয়ে ইলেকট্রিক শক দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বদায়ুঁ পুলিশের বিরুদ্ধে। আপাতত হাসপাতালে ওই যুবক। থানা আধিকারিক-সহ পাঁচ পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে।
এই ঘটনা যোগী রাজ্যে (Yogi Adityanath) পুলিশি অত্যাচারের ছবি ফের সামনে নিয়ে এল। ধৃত যুবক রেহানের পরিবারের দাবি, সে গুরুতর আহত। কথা বলতে পারছে না। এমনকী, হাঁটতেও পারছে না। তার গোপনাঙ্গে বিদ্যুতের শক দেওয়ায় চোট লেগেছে। লাঠি দিয়েও বেধড়ক মারধর করা হয় বলে জানিয়েছেন রেহানের বউদি। তাঁর দাবি, ৫ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। রেহানের চিকিৎসার জন্য তাঁদের হাতে একশো টাকার নোট ধরিয়ে দেয় পুলিশ।
[আরও পড়ুন: হত্যার হুমকি দিয়ে চিঠি, সলমন খানের নিরাপত্তা বাড়াল মহারাষ্ট্র সরকার]
পরিবারের দাবি, রেহান দিনমজুর। ২ মে তাকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। সে তখন কাজ থেকে বাড়ি ফিরছিল। পুলিশের দাবি ছিল, গরুপাচার চক্রের সঙ্গে তার যোগসাজশ রয়েছে। বেশ কয়েক ঘণ্টা হেফাজতে রেখে তার উপর নির্যাতন চালানো হয়। পরিবার থানায় গেলে তাদের মুখ বন্ধ রাখতে হুমকি দেয় পুলিশ। ঘুষ দিয়ে তাকে ছাড়ানোর পর প্রথমে স্থানীয় সরকারি হাসপাতাল, পরে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেভাবে চিকিৎসা না হওয়ায় বুলন্দশহরের একটি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে রেহানকে।
এফআইআরে সাত ব্যক্তির নাম ছিল। পরে তদন্তের ভিত্তিতে পাঁচ পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
শহরের এক শীর্ষ পুলিশ কর্তা প্রবীণ সিং চৌহান জানান, বিস্তারিত তদন্ত চলছে। বিভাগীয় তদন্তের পর ওই পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে গুরুতর আঘাত করা, ভয় দেখানো-সহ একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে।