সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর কিছু মুহূর্ত। তার পরই অন্ধকার পেরিয়ে আলোর মুখ দেখবেন উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে ১২ দিন ধরে আটকে থাকা ৪১ জন শ্রমিক। ইতিমধ্যে তাঁদের জন্য তৈরি হয়েছে অস্থায়ী হাসপাতাল। মোতায়েন করা হয়েছে ৪০টি অ্যাম্বুল্যান্স। এমনকী, রয়েছে এয়ার লিফটের ব্যবস্থাও। সবমিলিয়ে উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে উদ্ধারকার্যের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি তুঙ্গে।
মনে করা হচ্ছিল, বুধবার রাতেই ৪১ শ্রমিককে উদ্ধার করা সম্ভব হবে। সেই লক্ষ্যে রাতভর কাজ করেছিলেন উদ্ধারকারীরা। কিন্তু ঠোঁট আর কাপের দূরত্ব ঘোচেনি। সুড়ঙ্গের ভিতরে থাকা লোহা এবং স্টিলের ‘নাগপাশে’ আটকে থমকে যায় ড্রিলিং প্রক্রিয়া। শেষপর্যন্ত গ্যাস কাটার এনে সেই জঞ্জাল সাফ করতে হয়। ভোররাতের দিক থেকে পুনরায় শুরু হয় উদ্ধারকাজ। ধ্বংসস্তূপকে আড়াআড়িভাবে কেটে সুড়ঙ্গের ভিতরে বিশালাকার পাইপ বসিয়ে আটকে থাকা শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা চলছে। সব ঠিক থাকলে আর কিছুক্ষণের মধ্যেই গোটা দেশের উদ্বেগের অবসান ঘটিয়ে ১২ দিন পর আলোর মুখ দেখবেন সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকরা।
[আরও পড়ুন: মহুয়াতে তড়িঘড়ি, বিধুরিতে ‘ধীরে চলো’! বিজেপি সাংসদকে ডিসেম্বরে ডাকল লোকসভার প্রিভিলেজ কমিটি]
তাঁদের মুক্তির অপেক্ষায় গোটা দেশ। সুড়ঙ্গের মূল প্রবেশ পথে তৈরি হয়েছে অস্থায়ী মন্দির। সেখানে সকাল থেকে চলছে প্রার্থনা।
প্রসঙ্গত, উত্তরকাশীর সিল্কইয়ারা এবং দণ্ডলগাঁওয়ের মাঝে তৈরি হচ্ছিল ওই সুড়ঙ্গটি। টানেলটি সাড়ে চার কিলোমিটার লম্বা। তারই মধ্যে ১৫০ মিটার লম্বা এলাকা জুড়ে আচমকাই ধস নামে। আটকে পড়েন ৪১ শ্রমিক। তাঁদের মধ্যে বাংলারও তিনজন রয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই গত ১২ দিন ধরে বিনিদ্র রজনী কাটাচ্ছেন তাঁদের পরিবার। আর কিছুক্ষণের মধ্যে তাঁদের সেই যন্ত্রণার মুক্তি ঘটবে বলেই আশাবাদী উদ্ধারকারীরা।