সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিয়ে (Marriage) মানেই কি সংসারের জালে জড়িয়ে যাওয়া? নিজের পছন্দ-অপছন্দ, চাহিদা জলাঞ্জলি দেওয়া? এসব প্রশ্ন নিয়ে তর্ক বিতর্কের শেষ নেই। তবে ইচ্ছা থাকলে নিজের চাহিদাপূরণে বিয়ে যে কোনও বাধাই হতে পারে না, তা প্রমাণ করে দিলেন গুজরাটের তরুণী। তাঁকে নিয়েই চর্চায় মশগুল নেটদুনিয়া।
কিন্তু তরুণী কী করেছেন, তা বুঝতে পারছেন না তাই তো? এবার চলুন পুরো বিষয়টি খোলসা করা যাক। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল (Viral) হওয়া একটি ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, কনের সাজে সেজে এক তরুণী মাথা নিচু করে পরীক্ষায় খাতায় লিখে চলেছেন। তাঁর পরনে লাল রংয়ের লেহেঙ্গা। খুব মন দিয়ে লেখালেখি করছেন তিনি। তাঁর আশেপাশে আরও অনেকেই পরীক্ষা দিচ্ছেন। ভিডিও দেখেই স্পষ্ট ওই তরুণী পরীক্ষাকেন্দ্রে বসেছিলেন।
[আরও পড়ুন: ‘জনাব নয়, শ্রী বলুন’, অনুষ্ঠানে সঞ্চালকের ভুল শুধরে দিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ]
ভাইরাল হওয়া ওই তরুণী শিবাঙ্গী বাগথারিয়া। তিনি গুজরাটের (Gujrat) বাসিন্দা। রাজকোটের পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন তিনি। পঞ্চম সেমেস্টারের পরীক্ষা ছিল তাঁর। এবার নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছা করছে কী কারণে কনের পোশাকে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন ওই তরুণী? শিবাঙ্গী জানান, দিওয়ালির মরশুমে বিয়ের দিনক্ষণ স্থির হয়েছিল। পরীক্ষার দিন ঘোষণার পর কার্যত মাথায় হাত পড়ে তরুণীর। কারণ, তিনি দেখেন বিয়ের দিনই পড়ে গিয়েছে পঞ্চম সেমেস্টারের পরীক্ষা। জীবনের বিশেষ দিনেও পরীক্ষা না দিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি তরুণী। তাই কনের পোশাকেই পরীক্ষাকেন্দ্রে চলে যান তিনি। সঙ্গে ছিলেন তাঁর হবু স্বামী। পরীক্ষা দেওয়ার পর সোজা অনুষ্ঠানস্থলে চলে যান শিবাঙ্গী। এরপর বিশেষ মানুষের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন তিনি।
বিয়ের পোশাকে পরীক্ষা দেওয়ার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) পোস্ট হওয়া মাত্রই ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওটিতে লাইক এবং কমেন্টের ঝড় বইতে থাকে। জীবনের বিশেষ দিন বলে যে তিনি পরীক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করেননি, তাতে ওই তরুণীকে সাধুবাদ জানিয়েছেন প্রায় সকলেই। এখনও বহু তরুণীই বিয়ের পর নিজের পছন্দ, অপছন্দকে গুরুত্ব দেন না। তাঁদের কাছে শিবাঙ্গীই উদাহরণ হয়ে উঠুন, এমনটাই চান অনেকেই।