সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনে (China) চোখ রাঙাচ্ছে করোনা ভাইরাসের নয়া প্রজাতি। সংক্রমণের হার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই যাবতীয় বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করেছিল চিনের সরকার। তার জেরেই দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় আকাশ ছুঁয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে প্রকাশ্যে এসেছে চিনের একটি হাসপাতালের ভিডিও। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বেড না পেয়ে মেঝেতেই শোয়ানো হয়েছে রোগীদের। ওই অবস্থাতেই তাঁদের চিকিৎসা চলছে। অন্যদিকে, হু-এর অভিযোগ কোভিড (Covid) আক্রান্তের সংখ্যা গোপন করছে চিনের প্রশাসন।
জানা গিয়েছে, চিনে কোভিড আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই বয়স্ক। তাঁদের যথাযথ চিকিৎসার আশায় হাসপাতালে নিয়ে আসছেন পরিবারের সদস্যরা। তার জেরেই হাসপাতালগুলিতে উপচে পড়ছে কোভিড রোগীদের ভিড়। কাজের চাপ বাড়ছে হাসপাতালের কর্মীদের উপরে। একই অবস্থা চিনের একাধিক শ্মশানেও। সময়ের অভাবে সৎকার করা যাচ্ছে না কোভিড রোগীদের মৃতদেহ। তবে কোভিড সংক্রান্ত সঠিক তথ্য প্রকাশ করছে না চিনের প্রশাসন, এমনটাই অভিযোগ উঠছে। হু-এর তরফে বলা হয়েছে, মৃতের সংখ্যা গোপন করছে চিন।
[আরও পড়ুন: সমাপ্তির পথে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ? কিয়েভের সঙ্গে আলোচনার বার্তা পুতিনের]
হুহু করে করে চিনে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় উদ্বিগ্ন সারা বিশ্ব। চিন থেকে আসা পর্যটকদের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে একাধিক দেশের প্রশাসন। আমেরিকা, কানাডা, ফ্রান্স এবং জাপান কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট ছাড়া চিনা পর্যটকদের তাদের দেশে প্রবেশাধিকার দিচ্ছে না। RT-PCR রিপোর্ট নেগেটিভ না হলে চিন-সহ ৬ দেশ থেকে যাত্রীদের ভারতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হতে পারে। দ্রুত কেন্দ্র এই নিয়ম চালু করতে পারে বলে দাবি করেছে সংবাদসংস্থা PTI। কিন্তু ৮ জানুয়ারি থেকে বিমান পরিষেবা থেকেও কড়াকড়ি তুলে নিচ্ছে চিনের প্রশাসন।
নতুন বছরেই কোভিডের কারণে চিনে মৃত্যুমিছিল শুরু হবে, আগে থেকেই এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। বিখ্যাত মহামারী বিশেষজ্ঞ এরিক ফেইল-ডিং বলেছিলেন, আগামী তিন মাসে চিনের লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যু হবে। করোনা আক্রান্ত হবেন দেশের ৬০ শতাংশ নাগরিক। তাঁর দাবি ছিল, জনস্বাস্থ্য নিয়ে একেবারেই মাথা ঘামাচ্ছে না কমিউনিস্ট পার্টি। তারা চাইছে, প্রাথমিক পর্যায়ে লাগামছাড়া ভাবেই আক্রান্ত হোক সাধারণ মানুষ। তাই সংক্রমণে রাশ টানতে সেরকম কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না সরকার।সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বর্তমানে চিনে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ১৪ লক্ষেরও বেশি। কিন্তু চিন সরকারের তরফে এই বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি।