সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্যাঙ্ক মানেই গ্রাহকদের ভিড়। টাকার লেনদেন। সেভিংস থেকে ফিক্সড ডিপোজিট, ইন্টারেস্ট থেকে কেওয়াইসি-এরকমই শব্দের আনাগোনা। কিন্তু এ এক এমন ব্যাঙ্ক, যেখানে এসবের লেশমাত্র নেই। আছে বলতে শুধু সীতা-রামের নাম। হ্যাঁ, এখানে টাকা পয়সা নয়, জমা রাখা হয় রাম নাম। হিন্দি বা সংস্কৃত তো বটেই এমনকী আরবি বা উর্দুতেও লেখা রামনাম জমা থাকে ব্যাঙ্কের অন্দরে।
[ ফেসবুকে এই কাজগুলি করে থাকেন? হাতছাড়া হতে পারে চাকরিও ]
অবাক লাগলেও এ ব্যাঙ্ক কিন্তু ঘোরতর বাস্তব। অবস্থান অযোধ্যায়। মনি রাম কি ছাউনি এলাকায় গেলেই দেখা মিলবে ‘দ্য ইন্টারন্যাশনাল শ্রী সীতা রাম ব্যাঙ্ক’টির। গোটা ব্যাঙ্ক জুড়ে পড়ে আছে রাশি রাশি জাবদা খাতা। সেখানে রাম নাম লিখে অ্যাকাউন্ট হোল্ডাররা জমা রেখে গিয়েছেন। হিন্দি, সংস্কৃতি, উর্দু, আরবি কোনও ভেদাভেদ নেই।
[ মমতার মাথা কেটে আনলে ১১ লক্ষ টাকা ইনাম, ঘোষণা বিজেপি নেতার ]
প্রায় বছর কুড়ি আগে এ ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠা। এখানে গ্রাহকদের দেওয়া হয় বিশেষ এখটি খাতা। সেখানেই রাম নাম লিখতে থাকেন সকলে। পরে সে খাতা পূরণ হয়ে গেলে তা জমা দিয়ে যান ব্যাঙ্কে। বদলে নিয়ে যান নতুন খাতা। কুরিয়ার বা ডাকযোগেও খাতা পাঠানোর ব্যবস্থা আছে।
কিন্তু কেন এই রাম নাম লেখার ব্যাঙ্ক? কর্তৃপক্ষর যুক্তি, পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তের যে কোনও মানুষেরই রাম নামে অধিকার আছে। কিন্তু কাজের কারণে সকলেই তো সবসময় রামনাম বলে উঠতে পারেন না। কিন্তু সুযোগ পেলেই লিখতে পারেন। বিশ্বাস করা হয় যে, মানুষের নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের সংখ্যা দিনে ২১,৬০০। কিন্তু প্রতি নিঃশ্বাসে তো আর রাম বলা সম্ভব হয় না। এই ব্যাঙ্কের দেওয়া খাতায় ২১৬০টি খোপ থাকে। সেখানে দিনে কেউ ২১৬০ বার রামনাম লিখতে পারেন। এখন লিখতে, মুখে বলার থেকে সময় বেশি লাগে। কাজেই ধরা হয়, তা মুখে রাম নাম বলার প্রায় ১০ গুণ। অতএব হিসেবমতো প্রতি নিঃশ্বাসে রাম নাম বললে যতবার রামকে স্মরণ করা হয়, ততবারই রাম উঠে আসছেন এই প্রক্রিয়ায়।
[ জিও-র নয়া চমক, এবার ৩০৯ টাকায় মিলবে ৮৪ জিবি ডেটা ]
এ ব্যাঙ্কের গ্রাহক কিন্তু কম নন। ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে তো বটেই কানাডা, আমেরিকা, নেপাল, পোল্যান্ডের মতো দেশও আছে এই ব্যাঙ্কের শাখা।
The post এই ব্যাঙ্কে জমা নেওয়া হয় রাম নাম, এমনকী উর্দুতেও appeared first on Sangbad Pratidin.